সংক্ষিপ্ত
গোটা ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত শেষ খবর ৮ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জন আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন, শোভা দেবী, প্রেমা দেবী, নিশা কুমারী ও প্রমিলা বাউরি।
আসানসোল উত্তর বিধান সভা এলাকার আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বরের রেলপার এলাকার রামকৃষ্ণ ডাঙালে মর্মান্তিক ঘটনা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় কম্বল বিতরণ করা নিয়ে তুমুল বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। কম্বল নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি করায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তিনজনের। ঘটনার আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
দুজনের মৃত্যু হয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। তাদের নাম হলো আসানসোল উত্তর থানার রেলপার রামকৃষ্ণ ডাঙালের চাঁদমনি দেবী (৫০) ও কাল্লার ঝালি দেবী (৫০)। গোটা ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত শেষ খবর ৮ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জন আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন, শোভা দেবী, প্রেমা দেবী, নিশা কুমারী ও প্রমিলা বাউরি। যে তিনজন মারা গিয়েছেন তার মধ্যে একজন ১৩ বছরের নাবালিকা রয়েছে। তার নাম এখনও জানা যায়নি। তার মৃত্যু হয়েছে আসানসোল সেনরেল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
পুলিশের দাবি, এই অনুষ্ঠানের জন্য কোনও অনুমতি ছিল না, দাবি করেছেন পুলিশ কমিশনার। ৫টি ক্যাম্পে ৫ হাজার মানুষকে কম্বল বিতরণ করার পরিকল্পনা ছিল। একটি ক্যাম্পে ১ হাজার মানুষকে কম্বল নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা ছিল। শুভেন্দুর সভায় বিশৃঙ্খলা, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। এই অনুষ্ঠানের অনুমতি ছিলো না বলে জানান আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার নীলকান্তম। ঘটনার পরে উদ্যোক্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কাগজে কলমে শিব চর্চা নামে অনুষ্ঠান হলেও, তা আদতে বিজেপির অনুষ্ঠান বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান। আরো জানা গেছে, শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ ছাড়তেই বিপর্যয় ঘটে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান এরকমই দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি করে চলেছে শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক এই মৃত্যুর দায় কেন নেবে না শুভেন্দু। পুলিশের কাছে কোনও অনুমতি ছিল না, বেআইনী সভায় গরীব মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে। তৃণমূলের আরেক মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান পুলিশের অনুমতি ছাড়া সভা করে যে দাদাগিরি দেখালেন শুভেন্দু তার দায় কে নেবে। এতগুলো প্রাণের বলি হল, তার দায় কে নেবে।
উল্লেখ্য, বুধবার আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে আসানসোলে একটি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। সেখানেই উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। নিজে হাতে ৩-৪টি কম্বল বিতরণ করেই চলে যান দলের জেলা কার্যালয়ে। এরপরেই শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা।