সংক্ষিপ্ত
১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর আদালতের নির্দেশে লালন শেখের বাড়ির সিল খুলে দেয় সিবিআই। বাড়িতে ঢুকে লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি দেখেন সব লণ্ডভণ্ড।
বগটুই গ্রামে লালন শেখের বাড়িতে তদন্ত চালাল চার সদস্যর ফরেনসিক দল। তাঁরা বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করে নমুনা সংগ্রহ করেন। কথা বলেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির সঙ্গে। তবে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি।
প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ রাতে ভাদু শেখ খুন এবং তার বদলা নিতে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই লালন শেখের বাড়ি সিল করে দিয়েছিল। ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর আদালতের নির্দেশে লালন শেখের বাড়ির সিল খুলে দেয় সিবিআই। বাড়িতে ঢুকে লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি দেখেন সব লণ্ডভণ্ড। বিছানা সামগ্রী ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুতের সুইচ বোর্ড থেকে আলমারি সব ভাঙ্গা।
এরপরেই রেশমা বিবি রামপুরহাট থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে সি আই ডির চার সদস্যার ফরেনসিক প্রতিনিধিদল তদন্তে লালনের বাড়িতে যায়। তাঁরা বাড়ির ছাদে উঠে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে। কথা বলে রেশমা বিবির সঙ্গে। তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি সি আই ডি আধিকারিকরা।
রেশমা বিবি বলেন, “সিবিআই হেফাজতে কিভাবে বাড়ির ভিতর থেকে জিনিসপত্র চুরি গেল তার তদন্ত চেয়ে আমি আবেদন করেছি থানায়। বন্ধ বাড়ি থেকে খাট, ফ্রিজ ভেঙে দিয়েছে। আলমারি ভেঙে সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছে। খাটের নিচে থাকা ৫০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে। এসি মেশিন ভেঙে দিয়েছে। কারা এসব করেছে আমি বলতে পারব না। আমরা সঠিক তদন্ত চাই”।
উল্লেখ্য, বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সিআইডি। এই ঘটনার তদন্তে সিআইডির নজরে রামপুরহাটের পান্থশ্রী গেস্টহাউস। কারণ এই গেস্টহাসের শৌচাগারেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল লালন শেখকে। সিবিআই সূত্রের খবর লালন শেখ গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পান্থশ্রী গেস্টহাউসেই অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস করেছিল সিবিআই। কারণ হাইকোর্টের নির্দেশ বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এসেন্জি। যদিও লালন শেখের মৃত্যুর পর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু নিয়ে আসা হয়েছে কলতাকায়।
অন্যদিকে লালন শেখ যে বাড়িতে বোমা ছুঁড়েছিল তা ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। সিবিআই বগটুই হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। যারমধ্যে অন্যতম ছিল লালন শেখ। কারণ লালন ছিল ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী। ভাদু শেখকে হত্যার দিনেও সে ছিল ভাদু শেখের সঙ্গে। ভাদু শেখের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই রাতের অন্ধকারে বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে দরজা বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।