সংক্ষিপ্ত

গোটা ঘটনাকে নির্বাচনের জন্য পরিকল্পিতভাবে মঞ্চস্থ করা হয়েছে বলে দাবি অধীর চৌধুরীর।

'চোটের সাহায্যে মানুষের আবেগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা', মুখ্যমন্ত্রীর চোট প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। বুধবার জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে দুর্যোগের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। ঝড় বৃষ্টির জেরে সেবকের এয়ারবেসেই করতে হয় জরুরি অবতরণ। এই দৌঁড় ঝাপের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোমরে চোট লাগে বলে জানা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এসএসকেএম-এর উডবার্ণ ওয়াডেও নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে মমতার চোটের বিষয় মুখ খোলেন কংগ্রেসী নেতা অধীর চৌধুরী। গোটা ঘটনাকে নির্বাচনের জন্য পরিকল্পিতভাবে মঞ্চস্থ করা হয়েছে বলে দাবি অধীর চৌধুরীর।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেন,'চোটকে মঞ্চস্থ করে মানুষের আবেগকে কাজে লাগাচ্ছেন মমতা।' পাশাপাশি তিনি আরও সংযোজন করেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য সুনাম অর্জন করেছেন। এর আগেও ঠিক নির্বাচনী প্রচারে পা ভেঙে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। আমি তখনও বলেছিলাম নির্বাচন মিটলেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। পুরো বিষয়টাই মানুষের আবেগকে কাজে লাগানোর জন্য মঞ্চস্থ করা হয়েছে।'

হেলিকপ্টার বিপত্তিতে তিনি বাঁ দিকে ভালোই চোট পেয়েছেন। তাই চিকিৎসকরা ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দিয়েছেন মমতাকে। কালীঘাটের বাড়িতে ফিজিও থেরাপি হল তাঁর। মঙ্গলবারের তুলনায় ব্যথা কমেছে বলে জানা গিয়েছে যদিও। তবে এখনও হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ফের স্বাস্থ্যপরীক্ষা রয়েছে মমতার। হাসপাতাল সূত্রে এমনই খবর সামনে এসেছে।

কালীঘাটে মমতার বাড়িতে পৌঁছন SSKM হাসপাতালের অধিকর্তা। পৌঁছন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান এবং একজন ফিজিও থেরাপিস্টও। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে মমতার ফিজিওথেরাপি চলে সেখানে। SSKM সূত্রে খবর, এখনও যথেষ্ট ব্যথা রয়েছে মমতার। তবে গতকালের তুলনায় কমেছে কিছুটা। বৃহস্পতিবার ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতে পারে তাঁর।

খারাপ আবহাওয়ার কারণে চপার দুর্ঘটনায় পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ হাঁটুর লিগামেন্টে চোট লাগে। একই সঙ্গে চোট রয়েছে তাঁর বাঁ দিকের হিপ জয়েন্টের লিগামেন্টে। এসএসকেএম হাসপাতালে দীর্ঘ শারীরিক পরীক্ষার পরই এই তথ্য দেন হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে চোটের কারণে হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দেন। আপাতত তিনি বাড়িতে থাকবেন। সেই মতো মঙ্গলবারই বাড়ি ফেরেন তিনি।