সংক্ষিপ্ত

শুক্রবারই এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চান মুখ্যসচিব। এই ঘটনার ঠিক পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর এগড়া সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

এগরার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি বাজি কারখানায় মৃত ও আহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয় হোম গার্ডের চাকরির নিয়োগপত্রও। এছাড়া তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পড়াশোনা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্যও জেলাপ্রশাসনকে সাহায্য করার নির্দেশ মমতার। এদিন গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে মমতা বলেন, 'আমি জানি দুঃখ কখনও শেষ হয়ে যায় না। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। বাজি কারখানায় মৃতদের পরিবারকে দুর্বল না হওয়ার অনুরোধ করব।' তিনি আরও বলেন,'এটা আপনার আমার হাতে ছিল না। যিনি দোষী ছিলেন তিনি আর বেঁচে নেই। তার পরিবারের দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু সে তখন মৃতপ্রায় অবস্থায় ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু বলার আগেই তিনি মারা যান।'

এগরা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'স্থানীয়দের বিষয়টি লক্ষ্য রাখার জন্য বলব। বেআইনি বাজি তৈরি হলে, সঙ্গে সঙ্গে থানার ওসির কাছে অভিযোগ করবেন।' এমনকী তিনি এও বলেন যে যদি সংশ্লিষ্ট ওসি কোনও কাজ না করে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে। তিনি ওসিকে পালটে দেবেন। মমতার কথায় উঠে এল পুলিশের গাফিলতির কথাও। তিনি বললেন,'পুলিশের ইন্টেলিজেন্স যদি সঠিক সময় কাজ করত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না।'

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চান মুখ্যসচিব। এই ঘটনার ঠিক পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর এগড়া সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। শুক্রবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞেস করেন বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত কতদূর? কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বেয়াইনি বাজি উদ্ধারে? এখানেই শেষ নয়, জেলার গোয়েন্দা বিভাগকেও বেআইনি বাজি তৈরি নিয়ে খোঁজখবর বাড়ানোরও নির্দেশ দেন তিনি। শুক্রবার ভার্চুয়াল মিটিং-এ হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, বেআইনি বাজি উদ্ধারে বার বার অভিযান চালাতে হবে। শুধু তাই নয়। এই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিলে সাধারণ মানুষকে পুরস্কৃত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য পরিবেশ দপ্তর এই পুরস্কার দেবে। এই সংক্রান্ত বিষয় পুলিশ প্রশাসনকে পরিবেশ দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতেও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।