সংক্ষিপ্ত

সোমবার বিকেলে আগরতলায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যান তাঁরা। এদিন ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে রবীন্দ্রনাথের ‘রাজর্ষি’ উপন্যাস, 'বিসর্জন' নাটকের কথাও উল্লেখ করলেন তিনি।

ত্রিপুরা সফরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে যাত্রা শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সফরের শুরুতেই ত্রিপুরাকে বাংলার আপনজন বলে অভিহিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার দীর্ঘদিনের যোগ আছে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। সোমবার বিকেলে আগরতলায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যান তাঁরা। এদিন ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে রবীন্দ্রনাথের ‘রাজর্ষি’ উপন্যাস, 'বিসর্জন' নাটকের কথাও উল্লেখ করলেন তিনি।

ত্রিপুরায় গিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

ত্রিপুরা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন,'আমি আগেও ত্রিপুরা এসেছি। কংগ্রেসের আমলে সন্তোষ মোহন দেব, মনরঞ্জন ভক্তাদের সঙ্গে কৈলাসহর, সোনামুড়া ঘুরেছি। তখনও ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়েছিলাম। এই রাজ্যকে আমি হাতের তালুর মতো চিনি। এই রাজ্যে আগে সিপিএমরা অত্যাচার করেছেন। এখন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আমাদের দলের নেতা গাড়িতেও হালমা হয়েছে। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে ছিল।' ত্রিপুরাকে নিজের ঘর বলেও সম্মোধন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,'এটা আমার নিজের ঘর। এখানে আমি নিজের ভাষায় কথা বলতে পারি। এখানকার খাওয়া দাওয়া, পোশাক সংস্কৃতি সবই বাংলার মতো।'

প্রসঙ্গত, এদিনই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডি'লিট দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি'লিট দিল জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ডি'লিট সম্মান তুলে দেওয়া হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আচার্য ফাদার রাফায়েল জে হাইডর-এর উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সম্মান তুলে দিলেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অবদান এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান তুলে ধরা হল বিশ্ববিদ্যালয়। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই সম্মান পেয়ে আল্পুত মুখ্যমন্ত্রী। এই সম্মান তিনি সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারি সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন মোট ৭৭০ জন পড়ুয়ার হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানেই বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের জন্য সাম্মানিক ডি'লিট তুলে দিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই দিনই সেন্ট জেভিয়ার্সের নবনির্মিত প্রশাসনিক ব্লকটির উদ্বোধন করা হয়।

সাম্মানিক ডি'লিট গ্রহণ করে কী প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর?

সেন্ট জেভিয়ার্সের কাছ থেকে সাম্মানিক ডি'লিট গ্রহণ করে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন,'আমি আবেগতাড়িত, আপ্লুত। সেন্ট জেভিয়ার্স পরিবারকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত। আমি আপনাদেরই লোক। আমি একজন সাধারণ মানুষ। তাই এই সম্মান আমি মানুষকেই উৎসর্গ করতে চাই।'

আরও পড়ুন - 

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বতেই শনিবার রাতে বীরভূমে বোমাবাজি, আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি ধৃতের স্ত্রীর

চার্চিল-মিল্টনের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এক আসনে বসালেন রাজ্যপাল, তুলনা করলেন সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ-এপিজে আবদুল কালাম সঙ্গেও

নিরাপত্তার ফাঁকফোকর এড়াতে ৩০টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা মুখ্যমন্ত্রীর আবাসে