সংক্ষিপ্ত

প্রতি বছরই গঙ্গা ভাঙনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ি ঘর, চাষের জমি তলীয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে।

প্রতি বছর ভাঙনের জেরে নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ফরাক্কা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকার মানুষদের। এবার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছরই গঙ্গা ভাঙনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ি ঘর, চাষের জমি তলীয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। পশ্চিমবঙ্গকে এই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

পশ্চিমবঙ্গ একটি নদী কেন্দ্রীক রাজ্য। গঙ্গার ৪০ হাজার কিউসেক জল ভাগীরথী-হুগলি নদীতে পাঠানোর জন্য তৈরি হয়েছিল ফারাক্কা ব্যারেজ। কিন্তু তার ফলে নদীর দু'ধারে যে পলি জমেছে তাতে প্রতি বছর নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। এই সমস্যার প্রতি এবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে গঙ্গা ও ফুলহার দুই নদীর মধ্যে ৪ কিলোমিটার দূরত্ব ছিল, যা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র দেড় কিলোমিটারে। ভাঙনের জেরে ক্রমশ কমছে দুই নদীর মাঝের সমতলের পরিধি। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ১৩১ এ জাতীয় সড়কও। উল্লেখ্য এই জাতীয় সড়কই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগকারী সড়কপথ।

প্রসঙ্গত, এর আগেও এই সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ফরাক্কা ব্যারেজ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। উত্তরে ৩৪২ কোটি টাকা খরচ করে ২০০৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ফরাক্কায় ভাঙন-বিরোধী সংস্কারের কাজ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রের জল শক্তি মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। এবার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে ফের একবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও এই সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বিহার সরকারও।