সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন তার লোকসভা কেন্দ্রের সকল মানুষের মঙ্গল কামনায় করেই এই পুজো। তবে তাঁর এই শিবপুজো উসকে দিয়েছে বিতর্ককে। পুরোনো বিতর্ক ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেশ আঁটঘাঁট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী যুবসভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সম্প্রতি সাংসদ হিসেবে মিমি চক্রবর্তী নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাই এবার সেই অভিনেত্রীর পরিবর্তে আসরে নামলেন সায়নী, যিনিও আগে অভিনয় জগতের সাথেই যুক্ত ছিলেন।
কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন যাদবপুরের ক্যান্ডিডেট। কখনও দেওয়াল লিখন, কখনও ভোট প্রচারে বেরিয়ে বানাচ্ছেন মমতা। আর এবার শিবলিঙ্গে পুজো দিয়েই প্রচারে সায়নী ঘোষ। তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন তার লোকসভা কেন্দ্রের সকল মানুষের মঙ্গল কামনায় করেই এই পুজো। তবে তাঁর এই শিবপুজো উসকে দিয়েছে বিতর্ককে। পুরোনো বিতর্ক ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
আজ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে সায়নী ঘোষ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (বর্তমানে যা এক্স) থেকে একটি গ্রাফিক শেয়ার করেছিলেন। যেই শিবলিঙ্গে আজ পুজো, সেই সময় তাতেই কন্ডোম পরানোর ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সায়নী। গ্রাফিকটিতে ছিল একটি শিবলিঙ্গের ছবি তাতে কন্ডোম পরাচ্ছিলেন এডস সচেতনতার বিজ্ঞাপনের ‘বুলাদি’।
ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, “এর থেকে বেশি কার্যকরী হতে পারেন না ঈশ্বর।” যা বুলা দির শিবরাত্রি নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট ভাইরাল হয়েছিল। ওই এক পোস্ট নিয়ে সায়নীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। যদিও পরে সায়নী ঘোষ সেই জানান, তার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। ওই পোস্ট দেখার পরই মুছে দেন। তবে বিতর্ক থেমে থাকেনি।
সালোয়ার কামিজ পরে শিবলিঙ্গে দুধ ঢালার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই একজন লেখেন, “হিন্দু ধর্মের অপমান, মহাদেবের অপমান, ওঁকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়াই উচিত্ হয়নি। আর কত দেখতে হবে?” এখানেই শেষ নয়, আরও একজন লেখেন, “ভোটের আগে এই সব করে মোটেও সহানুভূতি পাবেন না আপনি। ছিঃ! লজ্জা করা উচিত্।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।