সংক্ষিপ্ত
সুদীপ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশকে স্লোগান দেওয়ার অপরাধে সাধারণ মানুষকে শাসানি দিচ্ছে পুলিশ।
গত রাতে ছিল রাত দখল কর্মসূচি। শহর থেকে শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় হয় রাত দখল। সাধারণ মানুষ মোমবাতি নিয়ে হাঁটেন মিছিলে। কোথাও কোথাও হয় একাধিক কর্মসূচি। এই প্রতিবাদ মিছিলে চড়াও হল পুলিশ। এর আগে প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিংবা অন্য কোনও অশান্তির খবর মিলেছে। এবার এই সমস্যা তৈরি করল খোদ পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতে।
৪ সেপ্টেম্বর ছিল দ্বিতীয় দফায় রাত দখল কর্মসূচি। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও বিদেশেও আয়োজিত হয় এই কর্মসূচি। তেমনই কলকাতা শহর ও শহরতলিতে আয়োজিত হয় এই কর্মসূচি। মিছিল তো বটেই কোথাও হয় পথ আঁকা, পথ নাটিক, নাচ গান। এমন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল বারাসতে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সুদীপ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশকে স্লোগান দেওয়ার অপরাধে সাধারণ মানুষকে শাসানি দিচ্ছে পুলিশ। রীতিমতো মারধর শুরু হয়। তারপর একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। ভিডিও শেয়ার করে ব্যক্তি লেখেন, আমাদের বেধড়ক মারা হয়েছে। অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তা করা হয়েছে বারাসাতে।
তেমনই কাল অশান্তি হয় মাথাভাঙাতেও। কোচবিহারের এই অঞ্চলে একদল চড়াও হয় আন্দোলনকারীদের ওপর। বুধবার রাস্তা জুড়ে প্রতিবাদের প্রতীকী ছবি আঁকা হচ্ছিল। চলছিল অভিযোগ কর্মসূচী। এই সময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদীদের কথা কাটাকাটি হয়। তা পৌঁছায় মারধর পর্যন্ত। তাদের পথলিখন মুখে দেওয়া হয় বলে খবর।