সংক্ষিপ্ত
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ওঠানামা হার মিনিটে ৩০-এর নিচে, শ্বাসকষ্ট, SpO2-এর হার ঘরের মধ্যে ৯০%-এর নিচে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য HDU/ ICU-তে রাখতে হবে।
২০২৩-এর শুরু থেকে ভারতে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত। আবার বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিভিন্ন রাজ্যে মৃতের সংখ্যাও অব্যাহত। ভারতে শনিবার দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ১৩০ দিনের মধ্যে যা দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭১ জন। শেষ বার ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছিল। গত সাত দিনে দৈনিক আক্রান্তের বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজারে।
দেখা যাচ্ছে, ভারতে কোভিড সংক্রমণ মূলত পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতেই বেশি। তবে উত্তর, পূর্ব ভারতেও ধীরে ধীরে ছড়াচ্ছে করোনার বৃদ্ধি। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হয়েছে গুজরাতে। সাত দিনে সেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬০ জন। যা তার আগের সাত দিনের তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বেশি। গুজরাত ছাড়া অধিক পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত সাত দিনে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৬৫। কর্নাটকে সাত দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৯ জন।
কোভিড সংক্রমণে পিছিয়ে নেই দেশের রাজধানী দিল্লিও। দিল্লিতে ৭ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩৫। এ ছাড়া, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডে করোনা সংক্রমণের হার বেশি রয়েছে। দেশে গত সাত দিনে করোনায় ১৯ জনের মৃত্যুও হয়েছে। যদিও, বাংলায় সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত অনেকটাই কম রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, রবিবার পর্যন্ত বাংলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও মৃত্যু হয়নি।
এরই মধ্যে ১৯ মার্চ ১৮ বছরের উপরে যারা কোভিড-এ আক্রান্ত তাঁদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার। মাইল্ড ডিজিজ-এর লক্ষণগুলি হল, প্রবল সর্দি-কাশী, জ্বর, কিন্তু কোনও শ্বাসকষ্ট নেই বা শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা, হোম আইসোলেশন এবং নজরদারি। মডারেট ডিজিজ: নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ওঠানামা হার মিনিটে ২৪-এর নিচে, শ্বাসকষ্ট, SpO2-এর হার ঘরের মধ্যে ৯০ থেকে ৯৩%-এর মধ্যে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আর যাঁদের সিভিয়ার ডিজিজ, যেমন- নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ওঠানামা হার মিনিটে ৩০-এর নিচে, শ্বাসকষ্ট, SpO2-এর হার ঘরের মধ্যে ৯০%-এর নিচে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য HDU/ ICU-তে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-