সংক্ষিপ্ত

পঞ্জাব পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই পালিয়ে গেছেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং। জঙ্গি দলপতির খোঁজে দিনভর তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।

খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং-কে ধরতে গিয়েও বিফলে গেল পঞ্জাব পুলিশের চেষ্টা। তাঁর ৭৮ জন কর্মী সমর্থক সহ বহু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়েছে শনিবার। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দলের অর্থনৈতিক সহায়ক দলজিৎ সিংহও। কিন্তু, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে একেবারে সামনে থেকে পালিয়ে গেছেন অমৃতপাল সিং। একটি মোটরবাইকে চড়ে ঝড়ের বেগে তাঁকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

অমৃতসরের জল্লুপুর খেরা গ্রামে অমৃতপাল সিংয়ের বাড়ি, সেই বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু সেখানে ‘বেআইনি কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি’ বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। অমৃতপাল ঘনিষ্ঠ লভপ্রীত সিংহ তুফানকে পুলিশি কবজা থেকে ছাড়ানোর জন্য তাঁর দলের সমর্থকরা লাঠি তরোয়াল সহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পঞ্জাবের বহু থানায় ‘তাণ্ডব’ চালিয়েছিলেন গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। অমৃতপালের ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ বা পঞ্জাবের উত্তরাধিকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে শনিবার জলন্ধরের শাহকোটে সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছিল। তখনই দলের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছিল বহু বিতর্কিত ভিডিও। ফলে, পঞ্জাব জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে রবিবার বেলা বারোটা পর্যন্ত।

শনিবার অমৃতপাল জলন্ধরের দিকে যাওয়ার সময় তাঁর কনভয়ের পিছু নেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। রাজ্য পুলিশের সেই বাহিনীতে ছিলেন সাত জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিক। কিন্তু হঠাতই একটি মোটরবাইকে চড়ে চোখের নিমেষে উধাও হয়ে যান অমৃতপাল সিং। ‘ও ঘর থেকে বেরোনোর আগেই ওকে গ্রেফতার করে নেওয়া উচিত ছিল’, মন্তব্য করেছেন নেতার বাবা তারসেম সিং। গোটা পঞ্জাব জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পঞ্জাব পুলিশ। ৭৮ জন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ দলের সমর্থককে গ্রেফতারের পাশাপাশি প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

অমৃতপাল পালিয়ে যাওয়ার পরেও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা ভগবন্ত মান। কারণ, এর আগে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ‘ইন্দিরা গান্ধীর মতো অবস্থা হবে’ বলে অমিত শাহ-কে হুমকি দিয়েছেন অমৃতপাল সিং। উল্লেখ্য, ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশনায় কয়েকজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে ধরার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী শিখ ধর্মাবলম্বিদের তীর্থস্থান হরমন্দির সাহিব দখলের জন্য একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছিল, তারপরেই ইন্দিরা গান্ধীকে একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন তারই দুই দেহরক্ষী সৎবন্ত ও বিয়ন্ত সিং। এই ঘটনারই উল্লেখ শোনা গেছে অমৃতপাল সিং-এর গলায়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর গ্রেফতারির জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র, উভয় সরকারই মরিয়া হয়ে ছক কষতে শুরু করে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন-

মঙ্গলবারেই গ্রেফতার করে নেওয়া হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে? পর্ন তারকার সঙ্গে সেক্স স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য
Jitendra Tiwari News: নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে, দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হল কলকাতায়

দাউদাউ করে জ্বলছে টালিগঞ্জের বিখ্যাত এনটি ওয়ান স্টুডিয়ো, ভোর সাড়ে পাঁচটার বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই স্টুডিয়োর একাংশ