সংক্ষিপ্ত
নিজের কন্যাকেই বিষ দিয়ে মারল বাবা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল চাকদা বালুইঝাঁকা গ্রাম।
পর পর তিনটি কন্যা সন্তান, এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকতো বাড়ির কর্তার। এমনকী নিজের মেয়েদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন একাধিকবার। তবে এই কথা মতো সত্যিই কাজও করে ফেলবেন তা কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। নিজের কন্যাকেই বিষ দিয়ে মারল বাবা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল চাকদা বালুইঝাঁকা গ্রাম। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে পর পর তিন কন্যা সন্তান হওয়ার কারণেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটান অভিযুক্ত আমিন সরদার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানা এলাকার হাটপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাকদা বালুইঝাঁকা গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত আমিন সরদার। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ছিল পরিবার। কিন্তু কন্যা সন্তান চাননি আমিন। কিন্তু পর পর তিনবারই মেয়ের জন্ম দেন আমিনের স্ত্রী। এই নিয়ে মাঝেমধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত। বুধবার রাতে চূড়ান্ত পর্যায় যায় আক্রোশ। শরবতের মধ্যে বিষ মিশিয়ে তিন কন্যাকে খেতে দেন তিনি। সে রাতেই মৃত্যু হয় মেজ মেয়ে রাবেয়া সরদারের। নিজের নাবালিকা কন্যাকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত আমিন সরদারকে। অপর দুই কন্যা বর্তমানে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারাও।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত পেশায় ভ্যানচালক। তাঁর তিন মেয়েই গ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। অভিযোগ গত বৃহস্পতিবার বিকালে আমিন তার তিন মেয়েকে নিয়ে শীতের পোশাক কিনে দেওয়ার নাম করে বাজারে নিয়ে গিয়েছিল। রাস্তায় একটি দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয় কিনে আনে আমিন। তারপর তাতে আরও কিছু মিশিয়ে তিন মেয়েকে দেন তিনি। এই পানীয় খেয়েই অসুস্থ হয় পড়ে তিনজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই পানীয়তে বিষ মিশিয়েছিল আমিন। এক কন্যার মৃত্যুর পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, পর পর কন্যা সন্তান হওয়াতেই অভিযুক্ত এমন নৃশংস পদক্ষেপ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।