সংক্ষিপ্ত
প্রচণ্ড বর্ষায় নদীর জল বেড়ে গ্রামে উঠে আসার কারণেই লোকালয়ের অন্দরে জলজ জীবের আনাগোনা হয়েছে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্মীরা।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। মাটির দিকে চোখ যেতেই হাড় হিম হয়ে গেল সক্কলের। বিশালকায় লম্বা বড়সড় একটি জন্তু শুয়ে শুয়ে হাঁ করছে প্রকাশ্য রাস্তায়। দিনের আলোয় বর্ধমানের কাটোয়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বুধবার।
পূর্ব বর্ধমানে অগ্রদ্বীপ কালিকাপুর গ্রামের ফেরিঘাট খুলতে এসে এলাকার এক ব্যক্তি দেখতে পান, গ্রামের রাস্তায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি প্রকাণ্ড কুমির। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসীর মনে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। প্রায় ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের পূর্ণবয়স্ক কুমির দেখতে ওই এলাকায় জমে যায় গ্রামবাসীদের ভিড়। মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বিরক্ত হয়ে প্রাণীটি রাস্তা থেকে নেমে যায় পাশের একটি ডোবাতে।
প্রায় সাত ঘণ্টা পর বনদফতরের কর্মীদের হাতে ধরা পড়ে সেই বিশাল আকৃতির সরীসৃপ। টানা ২ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করার পর গ্রামবাসী ও বন দফতরের মিলিত প্রচেষ্টায় কুমিরটিকে জাল ও দড়ি দিয়ে বেঁধে ধরা সম্ভব হয়। এর পর গাড়িতে করে কুমিরটিকে এনে রাখা হয় কাটোয়ার বনদফতরের অফিসে। আপাতত সেখানেই প্রাণীটির ঠাঁই হয়েছে, দিনকয়েক পর তাকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। প্রচণ্ড বর্ষায় নদীর জল বেড়ে গ্রামে উঠে আসার কারণেই লোকালয়ের অন্দরে জলজ জীবের আনাগোনা হয়েছে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্মীরা।