সংক্ষিপ্ত
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (DHR) তরফে পর্যটকদের বিনোদনে খামতি না রাখার জন্য আনন্দের আরোহণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে দুর্গাপুজোর আনন্দ এবছর হতে চলেছে আরও জমজমাটি!
দুর্গাপুজো হোক, অথবা গরমের ছুটি, দার্জিলিঙে ছুটি কাটানো বাঙালির জন্য এক দুর্দান্ত প্রাপ্তি। বহু পর্যটক ফি বছর ব্রিটিশের ছোঁয়ামাখা এই শৈলশহরে নিয়ম করে বেরাতে আসেন। দার্জিলিং-এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে কু-ঝিকঝিক টয় ট্রেন। ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোতে যত মানুষ দার্জিলিং-এর ট্রেনের টিকিট বুক করেছেন, তার হিসেব দেখে মনে হচ্ছে, টয় ট্রেনেও এবছর বাড়তি ভিড় থাকা খুবই স্বাভাবিক। তাই পার্বত্য পর্যটনের জোয়ার সামাল দিতে এবছর জয় রাইডের সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (DHR)। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের পুজোর খামতি না রাখার জন্য আনন্দের আরোহণের উপায় বাড়িয়ে দিয়েছে ডিএইচআর।
এখন সারাদিনে মোট আটটি টয় ট্রেন চালানো হয় দার্জিলিঙে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে আরও চারটি ট্রেন বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, উন্মাদনার কাউন্ট একেবারে এক ডজন। দিনে মোট ১২টা করে টয় ট্রেন চালানো হবে দার্জিলিঙে। দুর্গাপুজোয় যারা উত্তরবঙ্গে বেরাতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্যই এই বাড়তি সুবিধা।
তবে, শুধুমাত্র ‘জয়-রাইড’ নয়, অ্যাডভেঞ্চারের ওপরেও জোর দিচ্ছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা GTA। বহু পর্যটক সরাসরি দার্জিলিং না গেলেও তার আশেপাশের অন্যান্য নির্জন পাহাড়ি গ্রামেও ঘুরতে যান। সেই গ্রামগুলিতেও যদি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুবিধা উপলব্ধ করা যায়, তাহলে পর্যটন শিল্পে আরও জোয়ার আসবে। এজন্য তিস্তা নদীর ওপরে রয়েছে রিভার-রাফটিং-এর আনন্দ। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে প্যারাগ্লাইডিং, রক ক্লাইম্বিং, মাউন্টেন বাইকিং ও ট্রেকিংয়ের সুযোগও প্রবল জনপ্রিয় সমস্ত মানুষের কাছেই প্রবল জনপ্রিয়।