সংক্ষিপ্ত
দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমত চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তিনি ভোটের সময় পাগলের মত কাজ করতেন।
লোকসভা নির্বাচনে হার কেন? তৃণমূল কংগ্র্রেসের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে দলের ১৩ জন প্রার্থীর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। শনিবার ছিল তৃণমূল কংগ্রসের বৈঠক। তার এক দিন পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেখানেই তিনি মমতার ধমকের জবাব দিলেন।
দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমত চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তিনি ভোটের সময় পাগলের মত কাজ করতেন। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর ওজন ৮৩ কিলো থেকে কমে হয়েছে ৭৭ কিলো। যাইহোক তিনি লম্বা-চওড়া পোস্ট করে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও তাঁর কার্যকলাপের খতিয়ে তুলে ধরেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও লিখেছেন তিনি নিজের পরিশ্রমের ১০১ শতাংশ দিয়েছেন। তবে সেখানেই তিনি খোঁচা দিয়ে বলেছেন, 'গোটা জেলায় নেতা কর্মী নয়, ভোট করিয়েছে কেবল টাকা।' তবে তিনি নন্দীগ্রাম, ময়নার মত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির দলীয় দুর্বলতার কথাও প্রকাশ্যে এনেছেন।
দেবাংশু আরও লিখেছেন, 'নিজেদের সবটা দেওয়ার পরেও অর্থের কাছে হেরে গিয়েছি। এত কোটি কোটি টাকার বিরুদ্ধে আমাদের স্বল্প ক্ষমতার লড়াই ব্যর্থ হয়েছে। গোটা জেলায় নেতা-কর্মী নয়, ভোট করিয়েছে কেবল টাকা। সাথে সাথে ছিল নন্দীগ্রাম ও ময়নার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিস্তৃত সন্ত্রাস; নির্বাচনের দিন তিনেক আগে থেকে বিরুলিয়া, বয়াল, ভেকুটিয়া, হরিপুর, গোকুলনগরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিতে না বেরোনোর হুমকি তথা ফতোয়া এবং সোনাচূড়া অঞ্চল জুড়ে ভোটের দিন দেদার ছাপ্পা। ময়নার বাকচা অঞ্চল এতটাই মুক্তাঞ্চল, তৃণমূল নাম উচ্চারিত হলেও মারধর এমনকি প্রাণহানিও সেখানে নতুন নয়। দলের ঝান্ডা বাঁধার লোক অন্ধি সেখানে নেই। তার উপর নির্বাচনের দিন দুয়েক আগেই সেই খুন; যাকে কেন্দ্রে করে গোটা নন্দীগ্রাম হয়ে উঠেছিল দুর্বৃত্তদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র। সেই পরিস্থিতে সবটা এতটা একপেশে হয়ে গিয়েছিল, এক সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল এই নির্বাচন এখন লড়া, না লড়া সমান ব্যাপার। তবুও আমরা হাল ছাড়িনি!'
তবে লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাথে দেবাংশু ভট্টাচার্য ৭৭ হাজার ৭৩৩ ভোটে হেরেছেন। তারপরই দলের মধ্যে কড়া সমালোচনের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তারপরই দেবাংশুর সোশ্যাল মিডিয়ায় জবাব রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। তবে দেবাংশুর পোস্ট দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। দলের নেতা শান্তনু সেন বলেছেন, 'নিজের ভাল চাইলে তরুণ দেবাংশুর উচিৎ নেত্রীর কথা অনুধাবন করার চেষ্টা করার।'