মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের ক্ষমতা বাঁচানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তারকেশ্বরে চার বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সোমবার দাবি করেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের ক্ষমতা বাঁচানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। হুগলি জেলার তারকেশ্বরে চার বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন। তবে শুধু দিলীপ ঘোষই নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি শমীর ভট্টাচার্য।
দিলীপ ঘোষ
তারকেশ্বরে শিশু নিগ্রহের ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং মহিলারা নিরাপদ নন। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার তুলনায় ক্ষমতা রক্ষায় বেশি মনোযোগী রাজ্য সরকার। বিজেপি নেতা বলেন, "আরজি কর থেকে কলকাতা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম পর্যন্ত, মহিলাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়। একটি ৪ বছরের মেয়েকে এর মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে; ৭০ বছরের মহিলাদের সঙ্গেও এমনটা ঘটছে। মহিলারা নিরাপদ নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সরকার তার ক্ষমতা বাঁচাতে এবং এসআইআর থামাতে ব্যস্ত। মহিলারা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন।"
হুগলিতে শিশু নিগ্রহ
ঘটনাটি শুক্রবার ঘটেছে এবং নির্যাতিতা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হুগলি গ্রামীণ এসপি কমনশীষ সেন রবিবার বলেন, "মেয়েটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন হাসপাতাল পুলিশকে খবর দেয়। এরপর হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা হয় এবং পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। এরপর তাদের পরিবার আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে এবং ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ জানার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।" পুলিশ আধিকারিক আরও বলেন, "সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা ভালো। যাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল, তাকে আজ আদালতে পেশ করা হয়েছে।"
শমীক ভট্টাচার্য
এর আগে রবিবার, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এই ঘটনাকে "মর্মান্তিক" বলে অভিহিত করেন এবং রাজ্যে "আইনের অনুপস্থিতি"র অভিযোগ তোলেন। শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, "এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে অস্বীকার করে। একজন মানুষ কীভাবে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ করতে পারে? এটা মর্মান্তিক। শুধুমাত্র একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিই এটা করতে পারে... এটা প্রমাণ করে যে রাজ্যে আইন বলে কিছু নেই। এটি একটি সাংবিধানিক ভাঙ্গন।"


