সংক্ষিপ্ত

সত্যি সত্যিই কি অনুগামীদের ভোটদান প্রভাবিত করে রামকৃষ্ণ মিশন? এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রামকৃষ্ণ মিশন এবং রামকৃষ্ণ মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ।

হুগলির গোঘাটে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নাম করে ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক মহারাজ ও আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশনকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষ্কার জানিয়েছিলেন ‘সব সাধু সমান হয় না। সব সজ্জন সমান হয় না। ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমার শ্রদ্ধার তালিকায় আছে। কিন্তু বহরমপুরে একজন মহারাজ আছেন। তিনি বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। এই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশের সর্বনাশ করে দিচ্ছেন। কে কী করছেন আমি চিহ্নিত করছি।'

এরপরেই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। পক্ষে-বিপক্ষে তৈরি হয় হাজার মত। সত্যি সত্যিই কি অনুগামীদের ভোটদান প্রভাবিত করে রামকৃষ্ণ মিশন? এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রামকৃষ্ণ মিশন এবং রামকৃষ্ণ মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ। জনপ্রিয় একটি সংবাদসংস্থার কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশন একটি অরাজনৈতিক সংস্থা। স্বামীজির নির্দেশ মেনে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কোনও সন্ন্যাসী ভোট দেয় না। কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁরা অংশগ্রহণ করে না’।

তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশনকে প্রত্যেকে সম্মান করে। ওঁদের কাছে একটা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। ওঁদের যারা সদস্য হয় তাঁদের নাম, যারা দীক্ষা গ্রহণ করে। রামকৃষ্ণ মিশন কখনও ভোট দেয় না, এটা আমি জানি। কিন্তু তাহলে আমি কেন অন্যকে ভোট দিতে বলব? সবাই ভায়োলেট করেনি, কেউ কেউ করেছে’।

এর উত্তরে স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা তাঁদের কোনও পরামর্শ দিই না। আমরা তাঁদের কোনও নির্দেশও দিই না। ওনারা নিজেদের ইচ্ছে মতো স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। একইসঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশন এবং রামকৃষ্ণ মঠের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। মিশন মানুষের জন্য কাজ করে। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য’।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।