সংক্ষিপ্ত
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে মানিক ভট্টাচার্য। ৭ কোটিরও বেশি ব্যাঙ্ক আমানত ও এফডি যুক্ত করেছে ইডি তার মামলার সঙ্গে। ইডির অনুমান এই টাকা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকেই এসেছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও বড় বিপদের সম্মুখীন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োদ দুর্নীতিতে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ইডির অভিযোগ অভিযোগ, মানিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া ৭.৯৩ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ও স্থায়ী আমানত পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই মানিকের মামলার সঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ ব্যাঙ্ক আমানত ও এফডি যুক্ত করেছে ইডি। মানি লন্ডারিং বিরোধী আইনের একাধিক ধারা তাদের মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ইডি মানিক ভট্টাচার্যের বন্ধু ও আত্মীয়দের ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ইডির দাবি এই অ্যাকাউন্টেই স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত টাকা জমা হয়েছে। ইডির সূত্রের খবর মানিক ভট্টাচার্য তাঁর বন্ধু ও আত্মীদের একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলতে প্ররোচিত করেছিল। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ২০১৬ সালে মৃত্যু হয়েছিল মৃত্যুঞ্জয় চট্টপাধ্যায়ের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল টাকা রাখার জন্য। তদন্তে তেমনই তথ্য সামনে এসেছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত অক্টবর মাসে এই রাজ্য থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি নদিয়া জেলার পলাশিপড়ার বিধায়ক। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছে।
বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি কোথা থেকে কিভাবে টাকা এসেছে তাই সন্ধান করেছে। অন্যদিকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন নিয়োগের অন্যান্য দুর্নীতি বা বেনিয়মগুলি খতিয়ে দেখেছে। মোট কথা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে রীতিমত জোরদার তদন্ত চলছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করা বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্কুল শিক্ষকের মত গুরুত্বপূর্ণ চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক চাকরি প্রার্থী। এই দুর্নীতির অভিযোগ মার্কিন ভট্টাচার্যের আগে গ্রেফতার করা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর বান্ধবী হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার একাধিক বাংলো থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাশি রাশি টাকা। ইডির প্রথম থেকেই অনুমান এই টাকা স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমেই পার্থর ঘরে এসেছে। কারণ টাকা উদ্ধারের পরেই অর্পিতা জানিয়ে দিয়েছিলেন এই টাকার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। পুরো টাকাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুনঃ
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মামলায় স্থগিতাদেশ, হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে বিজেপি নেতা
'বিরোধীদের কোমরে দড়ি বেঁধে রাখতে হবে', মূল্যবৃদ্ধির সভায় নিদান তৃণমূল কংগ্রেস নেতার
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস, বুধবার থেকে তিন দিনের জন্য খারাপ হতে পারে আবহাওয়া