সংক্ষিপ্ত

 

বিরোধীদের নিশানা করে কোমরে দড়ি বেঁধে রাখার নিদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করেন তিনি। গ্রামে ঢোকার ওপরেও নিষেধজ্ঞা জারি করেন।

বিরোধীদের কোমরে দড়ি বেঁধে রাখার নিদান দিলেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সির। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মালদার বৈষ্ণব নগরের সভা থেকে হুংকার রহিম বক্সির। তিনি বলেন, এই সিপিএম যারা সমাজের বিষ। কংগ্রেস সমাজের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি। তারপরই আক্রমণ করে বলেন, ' বিজেপি মানুষকে বিভাজন করতে চায়। তারা সমাজের শত্রু।' এদেরকে চিহ্নিত করতে বলেন। তারপরই তিনি বলেন, 'এরা গ্রামে আসলে বিভ্রান্ত করলে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখুন। এদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, তোমরা মানুষের জন্য কি করেছ।' কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে এদেরকে জিজ্ঞাসা করতে হবে 'তোমার সরকার ৩৪ বছরে কি করেছে। তোমার সরকার ৬৫ বছরে কি করেছে। তোমার সরকার ৮ বছর ধরে কেন্দ্রে থেকে'। তিনি অভিযোগ করেন,মানুষ এই রাজনৈতিক দলগুলিতে একাধিক সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু এরা মানুষের জন্য কিছু করেনি বা কোনও সুযোগ দিতে পারেনি। তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের গ্রামে ঢোকাও বন্ধ করে দেওয়ার নিদান দিয়ে বলেছেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের গড় তৈরি করতে হবে।

মঞ্চ থেকে দেওয়া নিজের বক্তব্যকে সমর্থন করেছন আব্দুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন,আমরা যে এলাকায় মিটিং করছি, সেই এলাকার গঙ্গা ভাঙ্গনে বিপন্ন হচ্ছে। এখানে বিজেপির নেতারা এসে জাতপাতের কথা বলছেন। এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। গঙ্গা ভাঙন রোধ করার দায়িত্ব আছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কিছু না করে বিজেপি নেতারা কেন্দ্রকে কোন দাবির জন্য কথা বলছেন না এখানে এসে জাতপাতের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মমতা ব্যানার্জি মানুষের কাজ করছেন আর বিজেপি নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করলে তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা উচিত।উনারা এসে বিভ্রান্ত করছেন তাই তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার কথা বলেছি।

 

মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতির এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা একযোগে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল জেলার সভাপতিকে। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জর্জরিত তাই তাদের মাথা ঠিক নেই ভুলভাল বকছেন। কিছুদিন ধরেই তিনি বলছেন হাত কেটে নেবেন পা কেটে নেবেন গ্রামের মানুষকে দিয়ে দোড় করাবেন। তিনি আগে নিজে দেখুন যে তাকে তৃণমূল কর্মীরা তার বাড়ি থেকে দৌড় করায় কিনা। জেলা সিপিএম সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ৩৪ বছর উনি তো বামফ্রন্টে ছিলেন, উনি জানেন বামফ্রন্ট আমলে কি হয়েছে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তৃণমূলে গেছেন। এসব বড় বড় কথা নীতিহীন লোকেদের মুখে মানায় না। মালদা জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালী সাধন রায় বলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রে যারা ক্ষমতাসীন তাদের মধ্যে কুকথার প্রতিযোগিতা চলছে। হিংসা এবং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে আতঙ্ক ভীতি ও সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

আরও পড়ুনঃ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস, বুধবার থেকে তিন দিনের জন্য খারাপ হতে পারে আবহাওয়া

বুধবার থেকে শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, বর্তমান সংসদে এটাই সম্ভবত শেষ অধিবেশন

আজ রাজস্থানের আজমের ও পুস্কর যাবেন মমতা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে গেহলত সরকার