সংক্ষিপ্ত
আবারও বিতর্তিত মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের। এবার বর্ধমান পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বাংলাদেশীদের ভোটার লিস্টে নাম তোলা নিয়ে দলীয় কর্মীদের নিদান দিলেন। যা নিয়ে জেলায় তৃণমূল বিজেপির মধ্যে তরজা তৈরি হয়েছে।
আবারও বিতর্কিত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। এবার দলীয় কর্মিসভায় রীতিমত বিতর্তিক নিদান দিলেন বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়েছে তাঁর মন্তব্য। খোকন দাস দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, 'যারা শুধুমাত্র তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত তেমনই বাংলাদেশীদের যাতে ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।' তিনি আরও বলেছেন, 'অনেক নতুন নতুন লোক আসছে .. তারা বাংলাদেশের। এই লোকেদের অনেকেই হিন্দু অনুভূতির কারণে বিজেপিকে ভোট দেয়।' এরপরই তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনারা দয়া করে নিশ্চিত করুন, যারা আমাদের দলকে সমর্থন করে তারা ও তাদের পরিবারই যেন ভোটারলিস্টে স্থান পায়।'
মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের তৃণমূলের কর্মিসভা ছিল। সেই কর্মিসভাতেই এজাতীয় বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৃণমূলের বিধায়ক খোকন দাস। তৃণমূল নেতার এই ভিডিও নিয়ে রীতিমত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
যদিও পরে বিধায়কের কাছ থেকে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিল সংবাদ সংস্থা পিটিআই। সেই সময় তিনি বলেন, 'অবৈধ বাংলাদেশ অভিবাসীরা প্রতিদিনই আমাদের এলাকায় প্রবেশ করেছে। আমি টিএমসি কর্মীদের বলেছিলাম, যে তাদের নাম ভোটার তালিকায় স্থান পাবে না। ' তবে এই বিষয়ে বর্ধমান জেলার বিজেপির জো সংগঠনের মুখপাত্র রীতিমত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি না করে এই বিষয়ে রাজ্যের উচিৎ কেন্দ্রকে অবৈধ অভিবাসী সমম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমাণ দেওয়া। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে সবকিছু জানান জরুরি। তারপরই তিনি বলেন এই কারণে তাঁর দল বিজেপি নাগরিকত্ব সংশোধন আইন প্রয়োগ করার পক্ষে।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস দাবি করেছেন, বিধায়কের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এবং সিএএ বাস্তবায়নের পিছনে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। তবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই নাগরিক সংশোধন আইন নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে। বর্তমানে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের আগেও কেন্দ্রীয় সরকার নারকিত্ব দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করাও তীব্র পতিক্রিয়া দেখিয়েছে। পাল্টা বিজেপি সর্বরাই বাংলাদেশ, পাকিস্তান-সহ একাধিক দেশের হিন্দুদের নারগিকত্ব দওয়ার পক্ষে। যা নিয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে
আরও পডুনঃ
শ্রদ্ধা খুনে তদন্তে ১০টি তথ্যপ্রমাণ, একই সঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তর উত্তর খুঁজছে দিল্লি পুলিশ