সংক্ষিপ্ত

ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে একাধিক দফায় রাজ্য সরকার ১১ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছে। অন্যদিকে পঞ্চম বেতন কমিশনের ক্ষেত্রে এখনো বকেয়া রয়েছে ডিএ।

ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে তিন দফায় ১১ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। গত বছর ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ৪ শতাংশ এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের রাজ্য বাজেটে আরও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করার ঘোষণা করা হয়। দু’দফায় বৃদ্ধি পাওয়ার পর এখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ১৪ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন।

অন্যদিকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে একাধিক দফায় রাজ্য সরকার ১১ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছে। অন্যদিকে পঞ্চম বেতন কমিশনের ক্ষেত্রে এখনো বকেয়া রয়েছে ডিএ। অন্যদিকে নিয়ম অনুসারে ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি মজুরিও বাড়ানো হয়ে থাকে। তবে সেই বর্ধিত হারে মজুরি বৃদ্ধি হয়নি সরকারের অধীনে থাকা দিনমজুরদের।

আর এর প্রভাব পড়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের বড় সংখ্যক দিনমজুররা। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি পাওয়ার সময় দিনমজুরদের দৈনিক মজুরি ১৭ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এরপর চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ৪% ডিএ বৃদ্ধির পর হিসেব অনুযায়ী আরো ২২ টাকা দিনমজুরি বৃদ্ধি পায়।

নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবার ডিএ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মজুরিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, ডিএ বৃদ্ধি করা হলেও দিনমজুর কর্মীরা বর্ধিত মজুরি পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত ও পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন দপ্তরের রক্ষী অথবা ভালব ও পাম্প চালানোর জন্য যে সকল কর্মীরা রয়েছেন তাদের সরকারি আদেশনামা অনুযায়ী ৪৪৩ টাকা মজুরি পাওয়ার কথা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ রয়েছে গত বছর যে ১৭ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল তাও কার্যকর হয়নি। আর এমন পরিস্থিতিতে এখনো বহু দিনমজুর কর্মী রয়েছেন যারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আওতায় কাজ করেন তারা হিসেব অনুযায়ী ৬১ টাকা মজুরি কম পাচ্ছেন।

নতুন করে ২২ টাকা দিনমজুরি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দৈনিক মজুরি ৪২১ টাকা থেকে বেড়ে ৪৪৩ টাকা হয়। সরকারের তরফ থেকে ৪৪৩ টাকা হারে দিনমজুরি দেওয়ার আদেশনামা দেওয়া হলেও অভিযোগ বেশ কিছু কর্মীরা ওই হারে দিনমজুরি পাচ্ছেন না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।