সংক্ষিপ্ত
তিনি জানান, পৃথিবীর ১৩৫টি সভ্য দেশে এখন মৃত্যুদণ্ডের সাজা নেই। মৃত্যুদণ্ড একটি সামন্ততান্ত্রিক সাজা প্রথা। সেই প্রথা। সেই প্রথা ফিরিয়ে এনে নিজেকে প্রগতিশীল দেখানো চেষ্টা করছেন।
ধর্ষণে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য আইন তৈরি করে বিধানসভায় বিল পাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা রাজভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে গিয়েচে। এবার সেই অপরাজিতা বিল-কে সর্বৈবভাবে অবৈধ বলে দাবি করল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। এই দাবি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের।
প্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ওই বিলের সবটা আমি দেখিনি। তবে, এই বিলে ধর্ষণ ও খুনের জন্য একমাত্র সাজা মৃত্যুদণ্ডর কথা বলা হয়েছে। সাংবিধানিক ভাবে যা অসিদ্ধ। ৪১ বচর আগের এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ৫ জন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, যে ঘটনার একমাত্র সাজা মৃত্যুদণ্ড, তা সাংবিধানিক ভাবে অবৈধ। তাহলে কেন এতদিন পর তৈরি হওয়া বিলে একমাত্র সাজা মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে? এখানে কোনও অপশন রাখা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পুরনো দণ্ডবিধির ৩০৩ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের আইনটি ছিল। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বাবা, বিচারপতি থাককালীন একটি মামলায় সেই আইনটিকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিলেন। তার রেকর্ড রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, বিচারপতিদের কাছে যখন কোনও ডিস্ক্রিসন নেই অর্থাৎ সে মৃত্যুদণ্ড দেবে না যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেবে, তখন সেই সাজার নির্দেশ সংবিধানের ১৪ ধারা এবং ২১ ধারাকে লঙ্ঘন করে।
এরই সঙ্গে তিনি জানান, পৃথিবীর ১৩৫টি সভ্য দেশে এখন মৃত্যুদণ্ডের সাজা নেই। মৃত্যুদণ্ড একটি সামন্ততান্ত্রিক সাজা প্রথা। সেই প্রথা ফিরিয়ে এনে নিজেকে প্রগতিশীল দেখানো চেষ্টা করছেন।
তেমনই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, এসব না করে উনি কি একবার বলুন, কেন আইনে নির্যাতিতার পরিবারকে বিপথে চালিত করা হল? কেন আইনের বলে ২ ঘন্টা পরও এফআইআর করতে পারল না পুলিশ? কোন আইনের বলে পুলিশ ভুল তথ্য পরিবেশন করল? কোন আইনের বলে নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি দাহ করে দেওয়া হল?