সংক্ষিপ্ত

গত ১৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে তিন বছরের জ়িনতকে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে ।

 

দীর্ঘ সাত দিনের লুকোচুরি খেলা শেষ। শেষপর্যন্ত বাঁকুড়াতেই খাঁচা বন্দি করা হল বঘিনী জিনাতকে। শনিবার থেকে একাধিকবার ঘুমপাড়ানি গুলি জিনাতকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু কোনওবারই বাগে আনা যায়নি। শেষপর্যন্ত রবিবার বিকেল চারটে সময় ফেল জিনাতকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়া হয়। সেই গুলি গায়ে লাগে জিনাতের। তাতেই কাবু হয়। তারপরই খাঁচায় পোরা হয় চঞ্চল বাঘিনী জিনাতকে।

শনিবার সকাল পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের গোঁসাইডিহি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল জিনাত। এই খবর পাওয়ার পরই তৎপর হয় বনদফতর। ঘুমপাড়ানি গুলি নিয়ে বাঘিনীকে কাবু করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। শনিবার রাতের দিকেও জিনাতকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়ে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। জঙ্গলেই লুকিয়ে ছিল জিনাত। তারপর গোটা জঙ্গল ঘিরে ফেলে আগুন লাগিয়ে বাঘিনী ধরার চেষ্টা করে বনদফতর। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। শেষপর্যন্ত রবিবার বিকালে বনদফতরের ঘুমপাড়ানির গুলিতে কাবু হয় জিনাত।

গত ১৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে তিন বছরের জ়িনতকে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে । কয়েক দিন পরেই রেডিও কলার পরিয়ে ২৪ নভেম্বর সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল জিনাতকে। কিন্তু ওড়িশা থেকে ঝাঁড়খণ্ডের দিকে হাঁটা দেয় জিনাত। শেষপর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া রেঞ্জের রাজাবাসার জঙ্গল পেরিয়ে চিয়াবান্দি এলাকা থেকে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারপর ঝাড়গ্রাম ঘুরে পুরুলিয়ায় যায় বাঘিনী। সেখান থেকে শনিবার পৌঁছে যায় বাঁকুড়ায়। শনিবার থেকে আস্তানা ছিল গোঁসাইডিহি। যদিও বনদফতর এই জঙ্গল ঘিরে রেখেছিল। তাই আর অন্যত্র যেতে পারেনি জিনাত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।