সংক্ষিপ্ত
ফের গ্রেফতার এক প্রতারক। এবার অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলেন এক ব্যক্তি।
ফের গ্রেফতার এক প্রতারক। এবার অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলেন এক ব্যক্তি।
নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রথমে এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন সেই ব্যক্তি। এমনকি, তাঁর সঙ্গে প্রায় টানা ৬ মাস ধরে সম্পর্ক চলতে থাকে। তারপর তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন সেই ব্যক্তি।
এদিকে আবার ফাঁক বুঝে তরুণীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়েও নেন তিনি। এ যেন একেবারে ঠাণ্ডা মাথায় ক্রাইম। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়লেন সেই ভুয়ো পুলিশ অফিসার তথা প্রতারক।
এমনকি, পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে চাপিয়ে মঙ্গলবার, সন্ধ্যাবেলায় সেই প্রতারক ব্যক্তি পৌঁছে যান তাঁর হবু শ্বশুরবাড়িতেও। কিন্তু বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায়, আগে থেকেই পুলিশকে এই বিষয়টি জানিয়ে রেখেছিল ঐ তরুণীর পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার আড়াইডাঙ্গা অঞ্চলের লোখরা গ্রামে। তিনি সেই তরুণীর বাড়ি পৌঁছতেই বাসিন্দারা তাঁকে নানারকম প্রশ্ন করতে শুরু করেন। জানতে চান যে, কোন থানায় পোস্টিং রয়েছেন তিনি? অসঙ্গতিপূর্ণ উত্তর মিলতেই মালদার পুখুরিয়া থানার পুলিশ সেই বাড়িতে পৌঁছয়। এরপরই প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সেই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেই ভুয়ো পুলিশ অফিসার ধরা পড়েছে। ধৃতের নাম হল আনোয়ারুল হক। তাঁর বাড়ি মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকায়। আড়াইডাঙ্গার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তাদের গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে এই ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল। মাঝেমধ্যেই আসা যাতায়াত করত সে। গ্রামের মধ্যে ঘোরাঘুরিও করত। এদিন সন্ধ্যায় পুলিশের পোশাক পড়েই সে এসেছিল। সন্দেহ হওয়াতেই বাসিন্দারা তাঁকে আটক করে রাখেন।
পরে সেখান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ তাঁকে পুখুরিয়া থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে সেই তরুণী জানিয়েছেন, ৬ মাস ধরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বলত পুলিশে চাকরি করে। বিয়ের কথা বলে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছিল। থানায় সবটাই জানানো হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।