সংক্ষিপ্ত
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পেছনে দীর্ঘদিন ধরে জমছিল আবর্জনা এবং ময়লা। হাসপাতালের ব্যবহার করা যে কোনো সরঞ্জাম ফেলা হয় সেখানে। যার মধ্যে পড়ে থাকে ব্যবহৃত ইনজেকশনের সূঁচ।
হাসপাতালের পেছনে আবর্জনার স্তূপ। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ময়লা। তার চারিধারে জঙ্গল। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সেই আবর্জনার স্তুপ আবার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। যার ফলে হতে পারে বায়ু দূষণ। পাশেই হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং দূষণের ফলে ক্ষতি হতে পারে তাদের। রাজ্য-জুড়ে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি। ফলে হাসপাতালের পেছনে এরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন সচেতন এলাকাবাসী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল। তবে দিয়েছেন সাফাই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পেছনে দীর্ঘদিন ধরে জমছিল আবর্জনা এবং ময়লা। হাসপাতালের ব্যবহার করা যে কোনো সরঞ্জাম ফেলা হয় সেখানে। যার মধ্যে পড়ে থাকে ব্যবহৃত ইনজেকশনের সূঁচ। আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সমগ্র এলাকা ভরে গেছে জঙ্গলে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এমনকি অনেক সময় ব্যবহার করা সেই ইনজেকশনের সূঁচ ফুটে যাচ্ছে পায়ে। যার ফলে রোগের সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সেই আবর্জনার স্তূপ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে ধোয়া থেকে বায়ু দূষণ হবে বলে আশঙ্কা এলাকার সচেতন মানুষদের। পাশেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে রোগী। সেই বিষাক্ত ধোয়া থেকে তাদেরও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সরব এলাকাবাসী। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমল কৃষ্ণ মন্ডলের দাবি সব কিছু নিয়ম মেনে হয়। কোথাও এক দুটো পড়ে থাকতে পারে। ডেঙ্গির আবহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা তৃণমূলের। খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে শাসক নেতৃত্ব।
স্থানীয় বাসিন্দা আসরিকুল আলম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। যত্রতত্র ব্যবহার করা ইনজেকশনের সূঁচ পড়ে থাকে। চারিদিকে ময়লা জমে সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সচেতন হওয়া উচিত। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা অঞ্জলি দাস বলেন, হাসপাতালের পেছনের রাস্তায় যত্রতত্র সূঁচ পড়ে থাকে। সেগুলো অনেক সময় পায়ে ঢুকে যায়।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, এরকম ভাবে সূঁচ পড়ে থাকে না। সব কিছু নিয়ম মেনে পরিষ্কার করা হয়। হাসপাতালে আপাতত কোন ডেঙ্গির রোগী নেই।
উত্তর মালদা জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, রাজ্য-জুড়ে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের পেছনে এরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। শাসকদলের নেতাদের এইসব চোখে পড়ে না। এদের জন্য প্রশাসনের এই রকম অবস্থা।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিমান ঝা বলেন, এই রকম ঘটে থাকলে দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে রোগ সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ব্যাপারটা আমরা খতিয়ে দেখব। হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার থাকা উচিত।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গির অবস্থা যথেষ্ট ভয়াবহ। প্রত্যেকটি জেলাতেই বাড়ছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। তার মাঝে হাসপাতালের পেছনে এরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই হাসপাতালে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে। হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে রোগীদের জন্য তা আরও সমস্যার হতে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ, লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
অনুব্রতের দোসর কমলাকান্ত? গরুপাচারের শেকড় খুঁজতে দিল্লিতে ইডির নয়া পদক্ষেপ
ওয়ার্মারে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু, দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নার্সকে বরখাস্ত করল হাসপাতাল