সংক্ষিপ্ত

কিন্তু মেয়ের বিয়ের ১০ দিন আগে কেন এভাবে আত্মহত্যা করলেন তিনি তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

মেয়ের বিয়ের ঠিক ১০ দিন আগেই আত্মহত্যা বাবার, হুগলির পোলবার আমনান গ্রাম্র ঘটল এমনই কাণ্ড। বাড়িতে প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ে গিয়েছে, কেনাকাটি থেকে নিমন্ত্রন সবই সারা। ঘরজুড়ে তখন সাজো সাজো রব। মেয়ের বিয়ে বলে কথা। কিন্তু এরইমধ্যে ছন্দপতন। বুধবার সন্ধ্যায় বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি মেয়ের বাবা। বরং একটি ফোনে পরিবারের লোককে তিনি জানিয়েছিলেন, আর বেঁচে থাকতে চান না তিনি। তারপরই গ্রামের অনতিদূরে একটি গাছ থেকে তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু মেয়ের বিয়ের ১০ দিন আগে কেন এভাবে আত্মহত্যা করলেন তিনি তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেন না। বরং একটি ফোন করে নিজেই জানান যে তিনি আর বেঁচে থাকতে চান না। অনেক বোঝানো সত্ত্বেও কথা না শোনায় চারিদিকে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। বহু খোঁজাখুঁজির পরও কোনও হদিশ না মেলায় অবশেষে পোলবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি লেখান মৃত বিশ্বজিৎ-এর বাড়ির লোক। পরের দিন সকালে আমনান গ্রামের নিকটবর্তী সোয়াখালের পাশের একটি গাছ থেকে বিশ্বজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই চরম পদক্ষেপ সেই বিষয় এখনও স্পষ্টভাবে কিছুই জানা যায়নি।

মৃতের বোন জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের কোনও সমস্যা ছিল বলে তিনি জানেন না। বিয়ের টাকা পয়সা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলেও তা প্রকাশ করেননি। মৃতের ভগ্নিপটী জানিয়েছেন, রাতে নিজেই ফোন করে তিনি জানিয়েছিলেন যে বেঁচে থাকতে চান না। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও কোনও ফল হয়নি। তিনি আরও জানান যে, গত কয়েকদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন বিশ্বজিৎ। তবে ঠিক কী কারণে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর মেয়ের বিয়ের গয়না কেনা না হওয়ায় চিন্তায় ছিলেন তিনি।