সংক্ষিপ্ত
পুলিশ নজরদারি শুরু করে। ড্রোন উড়তে থাকে আকাশে। চিনা সুতোর কারণে মুখ থুবড়ে পরে পুলিশের ড্রোন।
পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি মানেই ঘুড়ির উৎসব। গ্রাম বাংলার বেশ কয়েকটি জেলায় এই দিন ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু বার্তমানে ঘুড়ি ওড়ান নিয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। ঘুড়ির সুতোতে ব্যবহার করা হচ্ছে চিনা মাঞ্জা। যা দুর্ঘটনার মূল কারণ। পৌষ সংক্রান্তির দিন ঘুড়ি ওড়ানো যাতে সমস্যা তৈরি না করে সেই কারণে সকাল থেকেই সজাগ ছিল হুগলি পুলিশ। চালান হচ্ছিল নজরদারি। কিন্তু তাতেই বিপাকে পড়েছে হুগলি পুলিশের ড্রোন।
সোমবার সকাল থেকেই ছিল মেঘলা আকাশ। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ ওঠে। সেই সময়ই আকাশ ছেয়ে যায় ঘুড়িতে। রঙিন হয়ে যায় আকাশ। তারপরই পুলিশ নজরদারি শুরু করে। ড্রোন উড়তে থাকে আকাশে।
কয়েক বছর ধরেই নাইলন সুতো বা চিনা মাঞ্জার রমরমা বাড়ছিল। চিনা মাঞ্জা বিপজ্জনক। একাধিক দুর্ঘটনার সাক্ষী। মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে চিনা মাঞ্জার কারণে। অনেকেরই গলার নলি কেটে যায় চিনা মাঞ্জা বা নাইলনের সুতোর কারণে। সেই দুর্ঘটনা রুখতেই উড়িছিল পুলিশের ড্রোন। কিন্তু চিনা সুতোর কারণে মুখ থুবড়ে পরে পুলিশের ড্রোন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশ চিনা মাঞ্জা ব্যবহার হচ্ছিল কিনা তা দেখতে ও নজরদারি চালাতে ড্রোন ওড়িয়েছিল। শ্রীরামপুর পাচবাবুর বাজার ও রেল ব্রিজের ওপর ঘুড়ির প্যাঁচের খেলা চলছিল। সেই প্যাঁচের মধ্যে পড়ে পুলিশের ড্রোন। ঘুড়ি উড়িয়ের দল এদিন এদিন পুলিশের ড্রোনকেই ভোকাট্টা করে দেয়। ঘুড়ির সুতোর প্যাঁচে মধ্যে পড়ে থমকে যায় ড্রোন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনেকেই সাধারণ কাপড়ের সুতোতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন। কিন্তু অনেকেই চিনা মাঞ্জা ব্যবহার করেন। তাদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই রুখতেই এদিন পুলিশের ড্রোনও মুখ খুবড়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।