- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- বেআইনি কখন বলা হয় বাজি কারখানাকে? কীভাবে মেলে লাইসেন্স? কল্যানীতে বিস্ফোরণ নিয়ে রিপোর্ট তলব
বেআইনি কখন বলা হয় বাজি কারখানাকে? কীভাবে মেলে লাইসেন্স? কল্যানীতে বিস্ফোরণ নিয়ে রিপোর্ট তলব
রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসছে প্রায়ই। সেই আবহেই শুক্রবার কল্যাণীতে বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে সেই কারখানা আবার বেআইনি বলে জানা যাচ্ছে।সব কারখানাই তো আর বেআইনি নয়। কোন মাপকাঠিতে বিচার করে বাজি কারখানাগুলিকে বেআইনি বলা হয়?

কল্যানীতে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা রাজ্যে প্রথম নয় । এর আগে একাধিক জায়গায় এমন বিস্ফোরণের খবর উঠে এসেছিল সংবাদের শিরোনামে। প্রতিবারই ঘটনা ঘটার পর শুরু হয় তদন্ত । চলে নানা অভিযোগের পালা ।
শুক্রবার নদিয়া জেলার কল্যানীর বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে একাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটনায় রাজ্যে বাজিকারখানার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসছে প্রায়ই। সেই আবহেই শুক্রবার কল্যাণীতে বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে। যেই কারখানা আবার বেআইনি বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও বাংলায় বহুদিন ধরেই বাজির কারখানা রয়েছে। সব কারখানাই তো আর বেআইনি নয়। কোন কোন মাপকাঠিতে বিচার করে বাজি কারখানাগুলিকে বেআইনি বলা হয় তাহলে?
নিয়ম বলছে, জেলাশাসক ১৫ কেজি পর্যন্ত বাজি ও তার মশলা তৈরির জন্য লাইসেন্স দেন। সেই ওজন যদি ১৫ কেজি থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত হয়, 'কন্ট্রোলার অব এক্সপ্লোসিভস'-এর থেকে লাইসেন্স নেওয়া যায়।
এর থেকেও বেশি ওজনের বাজির ব্যবসা করতে হলে তখন 'চিফ কন্ট্রোলার'-এর কাছে আবেদন জানালে তিনি লাইসেন্স দেন। অন্যদিকে বাজির কাঁচামাল, মশলা তৈরি করে তা প্যাকেটবন্দি করার জন্যেও আলাদা করে অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
পরিবেশ দফতরের একটি তথ্য বলছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র সবুজ বাজি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে যাতে বেআইনি বাজি বিক্রি করা না হয়, তার জন্যও আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।
শুধু তাই নয়, পরিবেশ দফতরের হিসাব বলছে, বাজি বানানোর ফ্যাক্টরির মধ্যে দূরত্ব থাকা উচিত কম করে ১৫ মিটার। তবে অনেকেরই মতে, এ সব নিয়ম কেবল খাতায় কলমেই রয়েছে।
বাস্তবায়নের কোনও চিহ্নই নেই। তা না হলে রাজ্যে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে না। গত কয়েক বছরে বাংলার বহু জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
বস্তুত, কল্যাণীর রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। কীভাবে এতবড় বিস্ফোরণ ঘটল, জেলা প্রশাসনের কাছে সেই রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।
লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা হল কারখানা তৈরি করতে হলে একাধিক দফতরে অনুমতি নিতে হয়। এই প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কারখানার মালিকেরা লাইসেন্স পাওয়ার জন্য হয়রানির শিকার হন বলেও অভিযোগ করেন ব্যবাসীরা।