সংক্ষিপ্ত
এই প্ল্যান্ট ওলিফিন কনভার্সন টেকনোলজি ভিত্তিক ভারতের প্রথম অন-পারপাস প্রপিলিন প্ল্যান্ট হতে চলেছে।
নতুন বছরে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ। হলদিয়ায় তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ফেনল প্ল্যান্ট। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এসেছে। ফলত এই নতুন লগ্নির ফলে আগামী বছরের মধ্যেই শিল্পাঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্ল্যান্ট ওলিফিন কনভার্সন টেকনোলজি ভিত্তিক ভারতের প্রথম অন-পারপাস প্রপিলিন প্ল্যান্ট হতে চলেছে। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই এই নতুন প্রকল্পের জন্য দু'হাজারের বেশি ঠিকাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে পেট্রকেম কর্তৃপকক্ষের তরফে।
চলছে নিয়োগ
জানা যাচ্ছে, মোট ১৩টি বিভাগে এই কর্মীরা কাজ করবেন। এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ৩৫ বছরের নীচের কর্মীদেরই নিয়োগ করা হবে। কাজের মেয়াদকাল হবে ছ'মাস থেকে দু'বছর। চাকরিপ্রার্থীরা অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ১ নভেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত। হলদিয়ার ডিস্ট্রিক্ট এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে।
বার্ষিক উৎপাদন
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের জন্য ২০২৬-র মার্চের মধ্যে উত্পাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ফেনল প্রকল্পের বার্ষিক উত্পাদন ক্ষমতা তিন লক্ষ টন। এই প্রকল্পের আওতায় অ্যাসিটোন উত্পাদন হবে এক লক্ষ ৮৫ হাজার টন। আগামী দিনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে স্পেশালিটি কেমিক্যাল উত্পাদনে দেশের এক স্থান দখলে এগোচ্ছে হলদিয়া। ভবিষ্যতে এই ধরনের কেমিক্যালের চাহিদা আরও বাড়বে, সেই কারণেই বড় অঙ্কের লগ্নি করছে পেট্রকেম।
কী কী কাঁচামাল ব্যবহার করা হবে?
এই শিল্পের ক্ষেত্রে কাঁচামাল হিসেবে থাকবে ফেনল বেনজেনল বা ফেনোলিক অ্যাসিড। এছাড়া পলিকার্বোনেট, ইপক্সি, বেকেলাইট, নাইলন, ডিটারজেন্ট, ফেনক্সি হার্বিসাইট এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের কাঁচামাল হল ফেনল। উল্লেখ্য ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে ফেনলের মতো স্পেশালিটি কেমিক্যাল বিক্রি করে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা আয় করেছে পেট্রকেম।