সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের বুকে আবারও এক নৃশংস ঘটনা। পাট ক্ষেতে তুলে নিয়ে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে।

রাজ্যের বুকে আবারও এক নৃশংস ঘটনা। পাট ক্ষেতে তুলে নিয়ে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেই নাবালিকা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও অধরা অভিযুক্ত। ফলে, পুলিশের ভূমিকায় বাড়ছে ব্যাপক ক্ষোভ।

মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। পুলিশের দাবি, খোঁজ চলছে সেই অভিযুক্তের। স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বাড়ির পাশে কানখোল নদীতে স্নান করতে যায়। তাঁর সঙ্গে ছিল পাড়ারই কয়েকজন শিশু। সেখান থেকে ওই নাবালিকাকে পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে যায় ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী।

তারপর মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। কার্যত, একটি হিংস্র এবং অমানবিক ঘটনা। নির্যাতিতার দাদা জানান, “বোন বাড়ি ফিরে এসেই শুয়ে পড়ে। তখনও যদিও আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। কিন্তু রাতে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি যন্ত্রণায় কান্নাকাটিও শুরু করে দেয়। বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর, সব কথা আমরা জানতে পারি।”

সেই রাতেই পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠরতা ওই নাবালিকাকে মশালদহ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Hospital) রেফার করে দেন। পাঁচদিন ধরে সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সেই ছোট্ট মেয়েটি। পরিবার এবং স্থানীয়দের দাবি, অভিযোগ দায়ের করার পর পাঁচদিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা দাবি করেছেন যে, অভিযুক্ত এই যুবকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর কথায়, “তৃণমূল কর্মী বলে ওই যুবকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এলাকার অনেক মানুষই ভয় পাচ্ছেন। তবে এবারের ঘটনা সব সীমা একেবারে ছাড়িয়ে গেছে। আমরা এবার আন্দোলনে নামব।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।