সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে সরব হলেন বুদ্ধিজীবী মহল। নারী নির্যাতন, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলে সরকারের নিন্দা করেছেন তাঁরা। নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

আরজি কর হাসপাতাল ইস্যুতে ক্রমশই কোনঠাসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আরজি কর ইস্যুতে সমাজের বিভিন্ন মহল প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। এবার তালিকায় জুড়তে চলেছে আরও একটি নাম। আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বুদ্ধিজীবীরা। চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুললেন তাঁরা। যেসব বুদ্ধিজীবীরা মমতার বিরুদ্ধে পথে নামছেন তাদের তালিকায় রয়েছে ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ১৩ জন রাষ্ট্রদূত, ১৬৫ জন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার-সহ ১১০ জন সরকারি আমলা।

আরজি করের ঘটনার নিন্দা করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ও সই করেছেন ২৯৫ জন। এরা সকলেই একটা সময় সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় বড় কোনও পদে ছিলেন।

বুদ্ধিজীবিরা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, বর্তমানে নারীদের সুরক্ষা যেই পর্যায় পৌঁছেছে তা মানুষকে ভাবায়। নারীরা বর্তমানে সুরভিত নয়, শুধু আরজি কর নয়, রাজ্য ও দেশে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তাদের দাবি নারীরা যাতে রাতে সুরক্ষিতভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। আরজি করের ধর্ষিতার মৃত্যুর খবর দেওয়ার পরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছিল তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের দাবি সেই সময় পুলিশ প্রশাসন তথ্য লোপাটে ব্যস্ত ছিল।

আরজি কর হাসপাতালের ক্রাইম সিনের পাশেই দেওয়াল ভেঙে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বলেছেন, এই ঘটনা স্বাভাবিক নয়, পূর্ব পরিকল্পিত। প্রমাণ লোপাট করার পুরো ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ চাকার দেওয়া প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারও নিন্দা করেছেন শিক্ষিত সমাজের প্রতিনিধিরা।