সংক্ষিপ্ত
জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আর তাতেই মিলল স্বস্তি।
পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতিতে এক বেনামি চিঠি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়। পরে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে ওই বছরই মার্চ মাসে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। প্রাথমিক, আপার প্রাইমারি ও উচ্চ বিদ্যালয় সব মিলিয়ে বহু অভিযোগ সামনে আসে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ছাড়াই ৭০০ জনের বেশি শিক্ষককে পাহাড়ে নিয়োগ করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। যার তদন্ত করছিল সিআইডি।
পরে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। এই একই মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়–সহ ৮জনের নামে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। যাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ নাম রয়েছে বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীরও। সেই মামলাতে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছিল সিবিআই।
জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। যদিও তাতে কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর সোজা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। আর তাতেই মিলল স্বস্তি। সেই মামলাতে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছিল সিবিআই। জানা গিয়েছে এদিন এজেন্সি তদন্তের ওপর স্থগিতদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।
সম্প্রতি পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এতদিন সেই মামলায় তদন্ত করছিল সিবিআই। তবে এবার স্বস্তি। জিটিএ’তে নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। এদিন সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।