সংক্ষিপ্ত
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ২০২২ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও জামিনের আবেদন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু এবার আদালতে রীতিমত ভর্ৎসিত হতে হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আইনজীবীকে। বৃহস্পতিবার বিচর ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতের ১ নম্বর এজলাসে রাজ্যের প্রাক্তন আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারকের প্রশ্ন, 'আপনি বেঞ্চ নিয়ে এত ভবছেন কেন?' একই সঙ্গে বিচারক পার্থর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কোন আদালতে মামলা থাকবে সেটা আপনি ঠিক করবেন কিনা!
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ২০২২ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইডির মামলা কলকাতার বিচার ভবনে চলে। সিবিআই মামলা চলে আলিপুর কোর্টে। ইডির আবেদন ছিল যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই-এর করা মামলারও শুনানি করা হোক বিচার ভবনে। যেহেতু মামলার ধরন একই রকম। তাই সেই আবেদন মেনে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডি ও সিবিআই-এর করা মামলার শুনানি শুরু হয়ে বিচার ভবনের একই এজলাসে। পবর্বতীকালে ইডির মামলা অন্য এজলাসে চলে যায়। সিবিআই-এর মামলাও এই এজলাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবদেন জমা পড়ে বিচার ভবনে। ইতিমধ্যেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই-এর মামলাতেও জামিন টেয়ে বিচার ভবনে আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আদালত সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার ১ নম্বর এজলাসেই বিচারককে ওই মামলাটি শোনার আর্জি জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তিনি বলেন, সিবিআইয়ের মামলাটি ইডির আর্জি মোতাবেক এখনও অন্য কোর্ট বা এজলাসে স্থানান্তরিত হয়নি, তাই এই এজলাসেই সেটা শোনা হোক। তার পরেই ওই আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। বিচারক বলেন, 'আপনি বেঞ্চ নিয়ে এত ভাবছেন কেন? আপনি শুধু শুধু আদালতের সময় নষ্ট করছেন। কোন আদালতে মামলা থাকবে, সেটা আপনি ঠিক করবেন না।'
এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলা। সেখানে পার্থর আইনজীবী মুকুল রোহতহি প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। বিচারপতিরা জানান, পার্থ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হন তবে এভাবে তাঁর জামিন পাওয়া উচিৎ নয়। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও উজ্জ্বল ভুইয়ার বেঞ্চ রোহতগির উদ্দেশ্যে বলে, 'এই মামলায় বাকিরা জামিন পেতেই পারেন। তারা তো কেউ মন্ত্রী নন। আপনার মক্কেল মন্ত্রী ছিলেন। তিনি যদি দুর্নীতিগ্রাস্ত হন। সমাজকে আমরা কী বার্তা দেব? একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি কি এভাবে জামিন পেতে পারেন?'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।