সংক্ষিপ্ত

গত বছর পুজোর পর রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপর থেকে জেলেই দিন কাটছে তার।

 

সম্প্রতি জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আদালতে সংশয় প্রকাশ করেছিল ইডি। এরপর ইজিপ আর্জি মেনে দ্বিতীয়বার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর কমেন্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। বুধবার আদালতে সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। এরপরই বিপদ বেড়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।

রিপোর্ট বলছে, আগের থেকে অনেক ভালো আছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এসএসকেএম-র রিপোর্টের সঙ্গে কমেন্ড হাসপাতালের রিপোর্টের বিস্তর ফারাক আছে। এখন তিনি আগের থেকে সুস্থ। প্রাক্তন মন্ত্রীর ২০২০ সাল এবং গত এপ্রিল মাসের ব্লাড সুগারের রিপোর্ট দেখিয়ে ইডির সওয়াল, ২০২০ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি ছিল। এখন তা অনেক কম।

গত বছর পুজোর পর রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপর থেকে জেলেই দিন কাটছে তার।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জানিয়েছেন, এসএসকেএমের রিপোর্টে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে যতটা অসুস্থ দেখানো বয়েছে, কমেন্ড রিপোর্ট বলছে তিতি ততটাও অসুস্থ নন। বরং দেখা যাচ্ছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এরপরেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে জামিন পাবেন না জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। চাইলে অন্য যুক্তিতে জামিনের আবেদন করতে পারেন।

বর্তমানে জেল বন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিন চায়। আদালতে পেশ করা সেই রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করে ইডি। ফের শারীরিক পরীক্ষা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।