সংক্ষিপ্ত

রাজবংশী কিশোরীর ধর্ষন ও খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি ও কঠোর শাস্তির দাবিদে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে তফসিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। ফের পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয় আন্দোলনকারীদের।

কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল কালিয়াগঞ্জ। দফায় দফায় অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে এলাকায়। মঙ্গলবার দোষীদের শাস্তির দাবিতে ফের আন্দোলনে নামে স্থানীয়রা। কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মীকে মারধরের মত একের পর এক ঘটনা সামনে আসে। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন,'কালিয়াগঞ্জবাসী এই ধরণের পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেনি।' বয়রা মায়ের মন্দির চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন,'আমাদের বয়েরা মা, আমাদের নাট মন্দির, প্রভু শ্রী গোবিন্দ আমাদের রক্ষা করেন। কালিয়াগঞ্জবাসী এর আগে এই পরিস্থিতি দেখেনি।' বিধায়কের সংযোজন,'আজকে রাজনীতির জন্য চেয়ারের জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তার উচিত জবাব দেবে।'

গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন হেমতাবাদ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। এই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। তাঁর কথায়,'বিজেপির তো কোনও কাজ নেই। এরা কোনও কাজও করে না, মানুষের পাশেও থাকে না। এদের কাজ শুধু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা।' পাশাপাশি তিনি এও জানান যে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট ফোর্স সেই সময় থানায় ছিল না।

রাজবংশী কিশোরীর ধর্ষন ও খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি ও কঠোর শাস্তির দাবিদে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে তফসিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। ফের পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি পাঁচিলও। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। ফের শুরু হয় পুলিশ বনাম বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ। বিক্ষোভকারীদের রুখতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় এলাকা।

মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছল বের করে রাজবংশী তফসিলি ও আদিবাসী সংগঠন। কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ছোড়া হয় ইট পাটকেলও। এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।