সংক্ষিপ্ত

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর বাবা, মা, স্ত্রীকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পলের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন কল্যাণ।

 

যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যণ বন্দ্যোপধ্যায় তুমুল বচসায় জ়়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কিন্তু কী কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল- প্রায় এক সপ্তাহ পর এই নিয়ে মুখ খুললেন কল্যাণ। এদিনও ছিল ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কল্যণা। এদিনও অবশ্য ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে ঐকমত হতে পরেননি সরকার ও বিরোধী পক্ষের সাংসদরা। যাইহোক ২২ অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে এদিন অবশ্য সরব হয়েছেন কল্যাণ।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর বাবা, মা, স্ত্রীকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পলের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন কল্যাণ। কল্যণ বন্দ্যোপধ্যায় বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন আমার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন। ওই দিন প্রথমে নাসিরের সঙ্গে অভিজিতের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। আমি তখন কারণ জানতে চাই। তারপরই অভিজিৎ চিৎকার করেছেন। এরপরই আমাকে নিগ্রহ করতে শুরু করেন। আমার বাবা, মা , স্ত্রী সম্পর্কে কুকখা বলেছেন। সেই সময় সেখানে জেপিসির চেয়ারম্যান ছিলেন না। পরে তিনি আসতেই আমার প্রতি কড়া মনোভাব দেখালেন। কিন্তু অভিজিতের প্রতি নরম মনোভাব দেখান। এতেই আমি বিরক্তি হয়ে পড়ে। টেবিলের ওপর বোতল ভেঙে ফেলি। কিন্তু চেয়ারম্যানের দিকে বোতন ছোঁড়ার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। চেয়ারম্যানের কোনও অধিকার নেই আমাকে সাসপেন্ড করার। একমাত্র স্পিকার করতে পারে।' কল্যণ আরও বলেছেন, আইনের প্রতি তাঁর বিরাট শ্রদ্ধা রয়েছে।

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জগদম্বিকা পাল বলেন 'যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। নজিরবিহীন ও অসংসদীয়।আমার চার বারের সাংসদ জীবনে এই ঘটনা কখনও দেখিনি। আশা করব উনি এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবেন। বিরোধিতার একটি প্রক্রিয়া থাকে। মতভেদ হতেই পারে। কিন্তু আজ যে ঘটনা ঘটেছে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। শুধু বোতল ছুড়ে মারা নয়, প্রথমে বোতল ভেঙে তার পর ছুড়ে মারা হয়েছে। কাল কেউ রিভলভার নিয়েও চলে আসতে পারে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আজ এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে আমাকে। ' যদিও এই ঘটানর জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।