পঞ্চায়েত ভোটের আগে আসন পরিসংখ্যান কী বলছে, দেখে নিন জেলাভিত্তিক হিসেব

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পরিসংখ্যান। জানা গিয়েছে রাজ্যে মোট ৪৮৬৪৯ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। ৯২১৭ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। জেলা পরিষদের সদস্য রয়েছেন ৮২৫ জন। ২০টি জেলার তিন স্তরের পঞ্চায়েত এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় দ্বি-স্তরীয় পঞ্চায়েতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বাংলায় ব্যাপক হিংসায় সময় প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিল।

সেই সময়ে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ৯০% আসন জিতেছিল, যার মধ্যে ৩৪% বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যগুলি থেকে কোন দল জিতেছে তা বোঝা যায়নি। তবে জেলাভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য দেখায় যে তৃণমূল কংগ্রেস এই আসনগুলির বেশিরভাগ জিতেছে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারে ২২টি জেলার মোটি ৬৩২২৯টি আসনের মধ্যে ৬২৩৮টি, ৯৭৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭৫৯টি এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

আলিপুরদুয়ার

এই জেলায় জেলা পরিষদে ১৮টি আসন। আলিপুরদুয়ার জেলার ১,২৫২টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৮টি আসনে ভোট হবে না।

কোচবিহার

কোচবিহার জেলার ২,৫০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন। পঞ্চায়েত সমিতির ৩৮৩টি আসন, জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে ১টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে না।

দার্জিলিং

এই জেলার ৫৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৪০টি, ১৫৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৯টিতে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন নেই।

কালিম্পং

কালিম্পং-এর ২৮১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১০টি, ৭৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

জলপাইগুড়ি

এই জেলার ১,৭০১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ২৯টিতে ভোটগ্রহণ হবে না। জেলা পরিষদে জলপাইগুড়ির মোট আসন ২৪টি।

মুর্শিদাবাদ

এই জেলার ৫,৫৯৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১৬৬টি, ৭৪৮টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১২টি আসনে ভোটের প্রয়োজন নেই। জেলা পরিষদের মোট আসন ৭৮।

মালদহ

মালদার ৩,১৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৪৮টি, ৪৩৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৪টিতে ভোট হবে না।

দক্ষিণ দিনাজপুর

১৩০৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১১টি আসনে ভোট পড়বে না। এখানে জেলা পরিষদের মোট আসন ২১টি।

উত্তর দিনাজপুর

এই জেলার ২,২২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৩০৯টি, ২৯৩টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৩১টি এবং ২৬টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৩টি আসনে প্রার্থী জয়ী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

বীরভূম

বীরভূমের ২,৮৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৮৯৩টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৪৯০টি আসনের মধ্যে ১২৮টি, জেলা পরিষদের ৫২টি আসনের মধ্যে ১টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে না।

পশ্চিম বর্ধমান

এই জেলার ১,০২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ২৭২টি, ১৭২টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

পূর্ব বর্ধমান

এই জেলার ৪,০১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৮৫৮টি, ৬৪০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৯৩টিতে ভোটের প্রয়োজন নেই।

ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রামের ১,০০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৩০টি, ২১০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৫টি আসনে ভোট হবে না এবারে।

পুরুলিয়া

এই জেলার ২,৪৭৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১৪টি, ৪৯৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীরা।

বাঁকুড়া

বাঁকুড়ার ৩,১২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৬৬৪টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৫৬১টি আসনের মধ্যে ১০৬টি আসনে ভোট হবে না।

উত্তর ২৪ পরগনা

এই জেলার ৪,৫৩৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৮৬৭টি, ৫৯৩টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১০৪টি, ৬৬টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৩টি আসনে ভোট হবে না।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা

মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৬,৩৮৩। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ১,৭৬৭টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসনের সংখ্যা ৯৩৬। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৩৩টি আসনে জয়। জেলা পরিষদের মোট আসনের সংখ্যা ৮৫। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আটটি আসনে জয়ী। অর্থাৎ মোট ৭,৫৪২টি আসনের মদ্যে ২,০০৮টি আসনে ভোট হবে না। যা শতাংশের বিচারে ২৬.৬২।

নদিয়া

নদিয়ার ৪,০১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৩টি, ৫৪৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৫টি আসনে ভোট হবে না।

হাওড়া

৩,১০২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৭১৭টি, ৪৭০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৯৮টি আসনে ভোট হবে না।

হুগলি

৩,৮৮০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৩৯৮টি, ৬১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৫৮টিতে ভোট হবে না।

পশ্চিম মেদিনীপুর

এই জেলার ৩,৮৮১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৬২২টি, ৬৩১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৬৭টি আসনে ভোট হবে না এবার।

পূর্ব মেদিনীপুর

এই জেলার ৪,২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৬২টি, ৬৬৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২টি আসনে প্রার্থী জয়ী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।