সংক্ষিপ্ত
আরও বিপাকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যাপক সন্দীপ ঘোষ। এবার তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠাল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তিন দিনের মধ্যে শোকজ নোটিশের উত্তর দিতে না পারলে বাতিল হতে পারে তাঁর ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন। তবে আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেডের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও প্রাক্তন আরএমও অভীক দে কে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। শনিবার এই নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। আপাতত কাউন্সিলের কোনও বৈঠকে তাঁরা থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
কাউন্সিল শনিবার তিন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে। যারমধ্যে অভীক দে , বীরূপাক্ষ বিশ্বাসের সঙ্গে রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়ার ডাক্তার মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিক। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বীরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পিনাল ও এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলে। একই কমিটির সদস্য ছিলেন মুস্তাফিজুর।
কাউন্সিলের তরফে শুক্রবারই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে শোকজ চিঠি পাঠান হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে তিন দিনের মধ্যেই উত্তর দিতে হবে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে কাউন্সিল তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিতে পারে। সূত্রের খবর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। তিনিও সন্দীপ ঘনিষ্ট বলেও পরিচিত। সূত্রের খবর সন্দীপকে শোকজ করতে তাঁর ওপর অন্য চিকিৎসকরা চাপ তৈরি করেছিল। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই সন্দীপকে শোকজ চিঠি পাঠান হয়েছে। একই সঙ্গে সন্দীপ ঘনিষ্ট তিন চিকিৎসকরেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন আর ধর্ষণের ঘটনার পরই চাপ বাড়ছে সন্দীপের ওপর। ঘটনার কয়েক দিন পরেই আন্দোলনকারীদের চাপে সন্দীপকে অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠান হলেও সেখানে প্রতিবাদীরা তাঁকে ঢুকতে দেয়নি। শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশে ছুটিতে পাঠান হয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে সিবিআই গ্রেফতার করে। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে তাঁর ওপর। সব মিলিয়েই ক্রমশই চাপ বাড়ছে সন্দীপের ওপর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।