সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে দলকে নিশানা করলেন কৌস্তব বাগচী। দল নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের প্রতি দুর্বল মনোভাব রয়েছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কৌস্তব বাগচী। কিন্তু কেন তাঁর এই দলবদল? সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধো ক্ষোভ উগরে দিয়ে তার কারণও জানিয়ে দিলেন কুস্তব বাগচী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দলবদলের জন্য তিনি বিজেপি নেতৃত্বের কাছে কোনও শর্ত দেননি। এই রাজ্য থেকে তৃণমূলের শাসন উৎখাত করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। এই লক্ষ্য নিয়েই দল বদল করেছেন বলেও জানিয়ে দিলেন কৌস্তব বাগচী।
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে দলকে নিশানা করলেন কৌস্তব বাগচী। দল নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের প্রতি দুর্বল মনোভাব রয়েছে কংগ্রেস। এই মনোভাব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করতে পারবে না। তাই দলের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। রাজ্যের মানুষ চাইছে তৃণমূলের প্রতি জোরালো আন্দোলন। তিনি বলেন, সন্দেশখালি ইস্যুতে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করছে। কিন্তু সেখানে কংগ্রেস অনেকটাই নিশ্চুপ। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই রাজ্যে উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা সন্দেশখালি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। দলের দিল্লির নেতৃত্ব সন্দেশখালি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তাই কংগ্রেসের থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন করা যাবে না। সেই কারণেই তিনি দল বদল করেছেন।
এদিন সাংবাদি সম্মেলন কৌস্তব বাগচী জোট নিয়েও কংগ্রেসের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করছেন। বিজেপি নেতা বলেছেন,কংগ্রেস আসন চেয়ে তৃণমূলের কাছে ভিক্ষে বৃত্তি করছে। কিন্তু তৃণমূল তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। যাতে দলের নেতা কর্মীদের সম্মানহানি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দলের যেসব কর্মীরা সম্মান নিয়ে রাজনীতি করতে চান তারা কিছুতেই কংগ্রেসে থাকতে পারবেন না। তাদেরও দল ছাড়তে হবে।
কৌস্তব জানিয়েছেন, কোনও শর্ত ছাড়াই তিনি দল বদল করেছেন। কংগ্রেস তাঁকে এআইসিসির সদস্য করেনি বা অন্য কোনও পদ দেয়নি। এই অভিযোগ নিয়ে তিনি দল বদল করেননি। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হল রাজ্য থেকে তৃণমূলের শাসন উৎখাত করা। আর সেই লক্ষ্য অবিচল থাকতেই দল বদল করেছেন আইনজীবী রাজনৈতিক নেতা।