কালীগঞ্জের সমবায় নির্বাচনে একেবারে ধরাসায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায়ের সব আসনে জয়ী হয়েছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য পাওয়া বামেরা।  

মুর্শিদাবাদের কালীগঞ্জ। নাম শুনলে এখনও মনে পড়ে যায় তামান্না খাতুনের কথা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের জয়ের উল্লাসে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বোমাবাজিতে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। সেই কালীগঞ্জের সমবায় নির্বাচনে একেবারে ধরাসায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায়ের সব আসনে জয়ী হয়েছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য পাওয়া বামেরা।

কালীগঞ্জে সমবায় নির্বাচন 

কালীগঞ্জ সমবায় নির্বাচনের ৯টি আসন। এই নটি আসনেই জয়ী হয়েছে বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। খাতা খুলতেই পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম ছিল ৫৪৬ জনের। কিন্তু ভোট দিয়ছে ৪৬৪ জন।

সিপিএম নেতা দেবাশিস আচার্য বলেছেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের মানুষ প্রগতিশীল শক্তিকেই বেছে নিয়েছে। ৬ মাস আগে বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল প্রার্থী আলফা আহমেদ। সেই ঘটনা উল্লেখ করেন কলতান দাশগুপ্ত বলেন, মানুষ সুযোগ পেলেই নৈরাজ্যের ঘটনার জবাব দিয়েছেন। তৃণমূলের খুনের রাজনীতির জবাব দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যে গণতন্ত্র রয়েছে এটাই তার প্রমাণ। তিনি বিরোধীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তামোন্নার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। বোমা ছুঁড়ে খুন করা হয়েছিল তামোন্নাকে। কাঠগড়ায় ছিল তৃণমূলের স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। তামোন্নার পরিবার বরাবরই সিপিএম সমর্থক। তামোন্নার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। দীর্ঘ দিন ধরেই তারা ঘরছাড়া ছিলেন। মা তামোন্নাকে নিয়ে অন্যত্র থাকতেন । ভোট দিতেই তারা বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু তাতেই আকালে ঝরে গেল একটি ফুলের মত প্রাণ। তারপর থেকেই তামোন্নার মা বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। মামলাও লড়েছেন।