সংক্ষিপ্ত

"অন্তত একবার মুখটা দেখতে দিন" ভয়ঙ্কর সেই দিনের কথা মনে করেই শিউরে উঠলেন তরুণীর মা! কী হয়েছিল সেদিন?

ভয়ঙ্কর সেই রাত কেটে গিয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ হল। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য। দোষীদের ধরতে মরিয়া সিবিআই। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সামাজিক মাধ্যমে ছেয়ে গিয়েছে বিভিন্ন অডিও, ভিডিও যাতে বিভিন্ন ভাবে সেই ঘটনার বর্ণনা দাবি করে হয়েছে। কোনটা সত্যি কোনটাই বা মিথ্যে তা আজও জানা যায়নি।

কিন্তু কী বলছেন শোকস্তব্ধ বাবা-মা? প্রথম কী খবর পেয়েছিলেন তাঁরা? এ প্রসঙ্গে একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা।

প্রথমে কী বলা হয়েছিল হাসপাতল থেকে জানতে চাওয়ায়, তরুণীর বাবা, মা জানান, " দেরি হয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টা আমাদের ভাল লাগছিল না। আমি তো মা, আমি তো সব হারিয়ে ফেলেছি। এই দিন যেন কোনও মায়ের কাছে না আসে। ওই দিন হাসপাতাল থেকে একজন ফোন করে বলেছিলেন আপনার মেয়ে অসুস্থ আপনি আসুন। বার বার বলেছি যে আমার মেয়ের কী হয়েছে। বলা হয়েছিল যে আমি কি ডাক্তার যে বলতে পারব? আপনারা আসুন। এরপর বেরিয়ে যাই সেই সময় ফোনে বলা হয় আমি হাসপাতালের সুপার বলছি আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তখন বুঝলাম সব শেষ।"

কতটা সাহায্য পেয়েছেন পুলিশের থেকে? এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা জানান, " ওখানে পৌঁছনোর পর আমাদের প্রায় ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। চেস্ট মেডিসিনের দফতরেই বসেছিলাম। দেখতেই দিচ্ছিল না। পুলিশের পায়ে ধরেছি। বললাম একবার অন্তত মেয়ের মুখটা দেখান। বলা হয় যে তদন্ত চলছে। সে অনেক টানা হ্যাঁচড়ার পর দেখার সুযোগ পাই। সেদিন আমাদের এত হেনস্থা হয়েছে তা বলার নয়।

দেহ নিয়ে আসা পর্যন্ত তা চলে। আমাদের ওঁরা খুব চাপের মধ্য রেখেছিল। পুলিশ তাড়াহুড়ো করছিল আমাদের ওখান থেকে বের করে দিতে। গাড়ি ভাঙচুরেরও চেষ্টা করা হয়। তখন ওদের বলি যে আমার মেয়ের গাড়িটা খুব প্রিয় ছিল দয়া করে ওটাকে ভাঙবেন না। তারপর কোনও রকমে সব শেষ হল। সব হারিয়ে ফেলেছি।যা হারিয়ে যায়, তা আগলে বসে রইব কত আ" এ ছাড়াও মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা জানান ," কোটি কোটি মেয়েকে পেয়েছি পাশে, যতদিন না বিচার পাচ্ছি ততদিন যেন সকলে পাশে থাকে এটাই চাই"