সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে দলবদলুদের বিজেপি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি সরাসরি না বলে দেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় বঙ্গ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কি শুভেন্দু অধিকারী।
দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যে বিজেপির ঠান্ডা লড়াই চলছে তা বিজেপির গণ্ডী পেরিয়ে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কেউ এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেন না। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বর্ধমান- দুর্গাপুরের বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ শুভেন্দু কিনা। পাশাপাশি শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা লড়াই নিয়েও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষকে বেশ কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে ব়্যাপিড ফায়ার অংশেই শুভেন্জু অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই ভোটে তিনি দলের রাজ্য সভাপতি থাকলে লড়াই আরও জোরদার হত কিনা? প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি দিলীপ জানিয়ে দেন হ্যাঁ। ২০১৬ সালে বিধানসভায় বাংলায় মাত্র ৩টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন হয়েছিল ৭৭টি। সেই সময় তিনি ছিলেন রাজ্য সভাপতি। গত লোকসভা নির্বাচনেও এই রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তাই ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি রাজ্য সভাপতি থাকলে লড়াই আরও জোরদার হত বলেও মনে করেন তাঁর অনুগামীরা।
বর্তমানে দলবদলুদের বিজেপি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি সরাসরি না বলে দেন। এই ব়্যাপিড ফায়ার অংশেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় বঙ্গ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কি শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এক কথায় দেননি দিলীপ। তিনি বলেন এটা বলার অধিকার তাঁর নেই। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া ঠিক না ভুল - সেই প্রশ্নের মুখোমুখিও হতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি সরাসরি বলেন না। বিজেপিকে দিলীপের কদর কমেছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি বলেন না। এবার তাঁর লড়াই কিছুটা কঠিন বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁর লড়াই তৃণমূলের ১৯৮৪র বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদের সঙ্গে।