সংক্ষিপ্ত
এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপি-র প্রধান সেনাপতি ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলের ফল খারাপ হওয়ায় তাঁর উপরেই দায় বর্তাচ্ছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ফল খারাপ হওয়ায় এখন তাঁর বিরোধী দলনেতার পদই টলমল। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, দলীয় নেতাদের একাংশ শুভেন্দুকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকেও বাংলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য কমিটির কয়েকজন সদস্য। শোনা যাচ্ছে, আরএসএস-ও শুভেন্দুর কাজকর্মে খুশি নয়। ফলে দলে চাপে পড়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বে বড় রদবদল আসতে পারে।
শুভেন্দুর জন্যই রাজ্যে বিজেপি-র খারাপ ফল?
সুকান্ত মজুমদার রাজ্য বিজেপি সভাপতি হলেও, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ দায়িত্বই পালন করেন শুভেন্দু। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল, সুরেন্দ্র সিং আহলুওয়ালিয়াদের কেন্দ্র বদল করা হয়। এই তিনজন প্রার্থীই হেরে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গে হেরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। বাঁকুড়ায় হেরে গিয়েছেন অপর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া কোথাও বিজেপি-র ফল ভালো হয়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার এসেছে মাত্র ১২টি আসন। এই খারাপ ফলের জন্য অনেকেই শুভেন্দুকে দায়ী করছেন।
প্রশ্নের মুখে শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ
শুভেন্দুকে যদি বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। কারণ, সেক্ষেত্রে তিনি গুরুত্ব হারাবেন। পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গেলেও হয়তো আগের মতো গুরুত্ব পাবেন না শুভেন্দু। ফলে তিনি প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বাংলায় ২৩টি সভা করেন নরেন্দ্র মোদী, সেগুলিতে কেমন রেজাল্ট? কোথায় জিত-কোথায় হার?
'সবাই কাঠি নিয়ে ঘোরে'! বিজেপি নেতাদের চক্রান্তেই হেরেছেন তিনি? বোমা ফাটালেন দিলীপ ঘোষ