সংক্ষিপ্ত
সারাদেশের মধ্যে প্রথম। নির্বাচনী প্রচারে ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। বিবৃতি দিয়ে জানাল নির্বাচন কমিশন।
সারাদেশের মধ্যে প্রথম। নির্বাচনী প্রচারে ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। বিবৃতি দিয়ে জানাল নির্বাচন কমিশন।
আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। বলা যেতে পারে, দীর্ঘ ভোটযাত্রার পরিসমাপ্তি। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে এবং রাজ্যে ছয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ। আগামী ১ জুন শনিবার, বাংলায় সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। মোট ৯টি কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ।
আর এই ভোটপ্রচারে গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পরিসংখ্যান বলছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ কর্মসূচি হয়েছে। যার মধ্যে সভা এবং মিছিল সহ বিভিন্নরকম কর্মকাণ্ড রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, অন্য কোনও রাজ্যে এই পরিমাণ সভা কিংবা মিছিল হয়নি।
উল্লেখ্য, এই লোকসভা ভোটে যেকোনও কর্মসূচি নেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে আবেদন করতে হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই। বৃহস্পতিবার, প্রচার শেষ হওয়ার পরই কমিশন এই তথ্য তুলে ধরেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চেয়ে আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের তরফ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৭৬টি আবেদন জমা পড়ে তাদের কাছে।
তার মধ্যে সব আবেদনে অনুমতি দেওয়া হয়নি। মোট ৯৫ হাজার আবেদনের অনুমতি দেয় তারা। অন্যদিকে, সবথেকে বেশি প্রচার কর্মসূচি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। ঐ জেলায় মোট ১০ হাজার ৬৮৮টি কর্মসূচি নেওয়া হয়। রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে উত্তর ২৪ পরগনা।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের দিন ঘোষণা করা হয় গত ১৬ মার্চ। আর ওই দিন সন্ধ্যেবেলা থেকেই আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়ে যায়। ধীরে ধীরে শুরু হয় প্রচার পর্ব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের অন্যান্য নেতারাও শুরু করে দেন প্রচার। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এ রাজ্যে এসে করে গেছেন নির্বাচনী প্রচার।
তীব্র দাবদাহ কিংবা বৃষ্টি, সবকিছু উপেক্ষা করেই প্রার্থীরা ছুটেছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। কার্যত, সেই দীর্ঘ ভোট প্রচার এসে শেষ হল বৃহস্পতিবার। আর তারপরই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, গোটা দেশের মধ্যে ভোট প্রচারে ‘ফার্স্ট’ হয়েছে বাংলা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।