সংক্ষিপ্ত

লোকসভা ভোটের সময় থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। আর ফল বেরোনোর পর, তা যেন কার্যত আগুনে ঘি ঢালে। কেন কেন্দ্র বদল করা হল দিলীপ ঘোষের? এই জল্পনা শুরু বিজেপির অন্দরেই।

লোকসভা ভোটের সময় থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। আর ফল বেরোনোর পর, তা যেন কার্যত আগুনে ঘি ঢালে। কেন কেন্দ্র বদল করা হল দিলীপ ঘোষের? এই জল্পনা শুরু বিজেপির অন্দরেই।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। আর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফল সামনে আসতেই পিছনে থেকে ‘কাঠিবাজি’-র অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

এবার সোজাসুজি বললেন, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়াই করার কোনও ইচ্ছাই ছিল না তাঁর। শুধুমাত্র আরএসএস-এর নির্দেশ মেনেই নাকি তিনি ভোটে লড়তে রাজি হয়েছিলেন।

তাঁর কথায়, “আমি তো রাজনীতিতে আসতেই চাইনি। আরএসএস-এর অনুরোধেই আমি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করছিলাম। কিন্তু এবারের ভোটে আমার কেন্দ্র বদল হওয়ার পর, আমি আরএসএস নেতাদের সঙ্গে কথাও বলি। আমি জানাই যে, এবারের ভোটে লড়তে চাই না। সঙ্গে এই বলি যে, রাজনীতিও করতে চাই না আর। দলকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছি।”

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আরও যোগ করেন, “আমি ওনাদের জানাই যে, ৪০ শতাংশ ভোট হয়ে গেছে। এবার আপনারা আমাকে মুক্তি দিন। কিন্তু আরএসএস নেতারা আমাকে ভোটে লড়তে অনুরোধ করেন। তাই সেই অনুরোধকে সম্মান জানিয়ে ভোটে লড়েছি। আসলে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সংগঠন বলে কিছুই ছিল না। দলের অর্ধেক নেতৃত্ব মন্ডল কমিটির বৈঠকে পর্যন্ত থাকেন না। এমনকি, অনেকে আছেন যারা ভোট করানোর নামে টাকা রোজগার করতে ভালোবাসেন। কিছু দালাল লোক এখন পাটিটাকে চালাচ্ছে।”

তাঁর আরও দাবি, “আমাকে এক বছর আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে বলা হল যে, আপনি নিজের কেন্দ্রে মন দিন। আমি ঠিক সেদিনই নাড্ডাজিকে বলে এসেছিলাম, দলের যা অবস্থা তাতে পশ্চিমবঙ্গে ৫টার বেশি আসন হবে বলে মনে হয় না। যারা পঞ্চায়েত ভোটে জিততে পারে না, তাদের হাতে এখন দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।”

দিলীপবাবুর অভিযোগ, “আমার কেন্দ্র বদল করার আগে আমার সঙ্গে কেউ একটা কথা পর্যন্ত বলেনি। ফলে, নির্বাচনে তার প্রভাব পড়েছে। ঠিকমতো প্রস্তুতি নেওয়ারও সময় পাইনি। এইসবকিছুর পিছনে অবশ্যই কিছু একটা আছে বলেই মনে হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, চব্বিশের ভোটে, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের ২ বারের জয়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।