সংক্ষিপ্ত
লোকসভা ভোটে হার। চব্বিশের ভোটে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। নিজের মাথার চুল কেটে নেড়া হলেন দুই দলত্যাগী বিজেপি কর্মী।
লোকসভা ভোটে হার। নিজের মাথার চুল কেটে নেড়া হলেন দুই দলত্যাগী বিজেপি কর্মী।
চব্বিশের ভোটে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। মোট ভোট পেয়েছেন ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৯১। কিন্তু তাঁকে ছাপিয়ে গেছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ খ্যাত তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭ লক্ষ ২ হাজার ৭৪৪। প্রায় ৭৬ হাজার ৮৫৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
পরাজিত হয়েছেন গতবারের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর লকেটের এই হারের আনন্দে এবার নেড়া হলেন বিজেপি ত্যাগী দুই তৃণমূল কর্মী। পূর্ব নির্ধারিত প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার, হুগলির ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে গিয়ে নেড়া হন দুজন। তাদের কথায়, বিজেপিতে থাকাকালীন লকেটের থেকে কোনওরকম সাহায্য পাননি তারা। সেই রাগ থেকেই পরবর্তীকালে যোগ দেন তৃণমূলে। আর তখন থেকেই লকেটের হারের প্রার্থনা করে প্রতিজ্ঞা শুরু করেন তারা।
তবে শাসকদলে যোগ দেওয়ার আগে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ান এই দুই ব্যক্তি। সপ্তগ্রাম থেকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়েন শ্যামাকান্ত দাস এবং নিমাই সানা। আর তখন তারা নাকি তৎকালীন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের থেকে কোনও সাহায্যই পাননি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দলীয় বৈঠকে তাদের কথায় লকেট কোনও কর্ণপাতই করেননি বলে অভিযোগ।
তারপরই দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দুই ব্যক্তি এবং যোগ দেন তৃণমূলে। শ্যামাকান্ত এবং নিমাই সেই সময়ই প্রতিজ্ঞা করেন, লকেটকে হারিয়েই তারা নেড়া হবেন। সেই মতোই এই কাজ করলেন তারা।
দুই ব্যক্তির কথায়, তারা আগে বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েও কোনও সাহায্য পাননি সাংসদের থেকে। লোকসভা ভোটের আগে বৈঠকে সেই কথা বললে, সাংসদের সঙ্গে নাকি কথা কথাকাটি শুরু হয়ে যায়। আর তারপরই তৃণমূলে যোগ দিয়ে এই প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন তারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।