সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সভামঞ্চে উপস্থিত হওয়ার আগে মহুয়াকে মাইক হাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
বিতর্ক আর মহুয়া মৈত্র। একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ হয়ে গিয়েছে যেন। লোকসভা নির্বাচনের দু দফার পর এবার সামনে প্রচার চলছে তৃতীয় দফার। রবিবার নদিয়ার কালীগঞ্জে সভা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়ার সমর্থনে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সভামঞ্চে উপস্থিত হওয়ার আগে মহুয়াকে মাইক হাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
সভাস্থলের আশপাশে বেশ কয়েকটি বাচ্চাও ছিল। তাঁদের সরাতে বলার সময়ই, আপত্তিকর মন্তব্য করতে শোনা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে। ফের মুখ খুলেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মহুয়া। বলেন, 'গেট থেকে সরাও, একবার বলছি। এই লাওয়ারিশ বাচ্চাগুলি কয়েকজন এখানে আছে, সরাও। বাইরে রাখো'।
স্বাভাবিকভাবেই মহুয়ার এই আপত্তিকর শব্দচয়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা হাতিয়ার করেছেন মহুয়ার বক্তব্যকে। মহুয়ার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীও। প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, ‘কল্পনার অতীত! রাজনীতি মানে হল মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, আদর্শ, নীতি। কোনও নীতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধের ব্যাপার নেই। তৃণমূল যেমন, তার ভাষা তেমন! কী ভাষা এসব?’।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি এটায় অবাক হয়নি। কারণ যিনি দেশের খবর বিক্রি করে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করেন, এমন দেশদ্রোহী যিনি হবেন, তিনি দেশের শিশুদের সম্বন্ধে এই ধারণাই পোষণ করবেন। তাই আমি মনে করি যেমন তাঁর মুখ দিয়ে তেমনই ভাষা বেরোচ্ছে’।
মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না। এবার ভোটের মুখে আক্রমণের নতুন অস্ত্র পেয়ে গেলেন বিরোধীরা। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্যের পর কটাক্ষের ঝড় ওঠে।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।