সংক্ষিপ্ত
বুধবার চাঁচলে বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের জন্য মজুত করা চাল যে ড্রামে রাখা ছিল তাতে মরা টিকটিকি এবং মরা ইঁদূর পাওয়া যায়। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়।
মিড ডে মিলের জন্য মজুত করা চালে মরা টিকটিকি ও মরা ইঁদুর। চাঁচলের বিদ্যানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা রায় ও সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস আব্দুল হানিফকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিল স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুলের কর্মী স্বপ্না সরকারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে বা কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটল সে বিষয়ও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার চাঁচলে বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের জন্য মজুত করা চাল যে ড্রামে রাখা ছিল তাতে মরা টিকটিকি এবং মরা ইঁদূর পাওয়া যায়। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও। এরপরই জেলাশাসক তদন্তের নির্দেশ দেন, সেই মতো বিডিও তদন্ত রিপোর্ট জমা করেন। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা রায় ও সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস আব্দুল হানিফ ও স্কুলের কর্মী স্বপ্না সরকারের বিরুদ্ধে স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান মালদার জেলাশাসক। মিড ডে মিল ঘিরে একের পর এক অভিযোগ। কখনও চালের ড্রামে মেলে সাপ, কখনও আবার ইঁদুর, টিকটিকি। এবার মিড ডে মিলের খাবারের মান খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। মিড ডে মিল প্রকল্প কেমন চলছে, পড়ুয়ারা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না সেবিষয় খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল।
জানুয়ারি থেকেই , মিড ডে মিলের খাদ্য তালিকায় বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য। পড়ুয়াদের পুষ্টিতে যাতে কোনও রকমের ঘাটতি না থাকে সেবিষয় নজর রেখেই বড় পদক্ষেপ নিল স্কুল শিক্ষা দফতর। সরকারি স্কুলের মিড ডে মিলে এবার মুরগির মাংস ও মরশুমী ফল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই খাতে ইতিমধ্যেই মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। প্রত্যেক পড়ুয়া পিছু বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দ। এই মর্মে রাজ্যের ২৪টি জেলার জেলাশাসক, কলকাতা পুরনিগমের যুগ্ম কমিশনার, শিলিগুড়ি মহকুমার মহকুমাশাসক-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
পড়ুয়াদের অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য ৩৭১ কোটি ৯০ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা মিড ডে মিল প্রকল্পে বরাদ্দ করছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। অতএব প্রত্যেক পড়ুয়া পিছু প্রায় ২০ টাকা করে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। নতুন খাদ্য তালিকা অনুযায়ী সপ্তাহে তিন দিন ডিম ও মরশুমী ফল দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। দেওয়া হবে মুরগির মাংসও। সপ্তাহে ৪ দিন অতিরিক্ত পৌষ্টিক আহার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই নতুন খাদ্য তালিকা বহাল থাবে।