সংক্ষিপ্ত

মুর্শিদাবাদের ডিআইজি অপসারণ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মমতার নিশানায় বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন। পাল্টা অধীরের অভিযোগ তৃণমূলের দিকে।

 

মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে সোমবার সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আইপিএস অফিসার শ্রী মুকেশকে ভোটের সঙ্গে যোগ নেই এমন কোনও পদে বদলির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আর জিআইজির অপসারণ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী সুর চড়িয়েছেন। অধীরের নিশানায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর মমতার নিশানা করেছেন নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে।

অধীরের অভিযোগ-

বহরমপুরের বিদায়ী সংসাদ তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ ছিল মুর্শিদাবাদের ডিআইদি শ্রী মুকেশকে নিয়ে। তাঁর অভিযোগ আইপিএস অফিসার তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। অধীর চৌধুরী এই মর্মে অভিযোগও করেছিলেন। তারপরই সক্রিয় হয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবারি রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি নিয়ে ডিআইজিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এদিনই বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্য থেকে তিন জনের নাম পাঠানোর নির্দেশ দেয় কমিশন। এই তিন জনের মধ্যে থেকেই একজনকে সংশ্লিষ্ট পদে বসান হবমমতার মন্তব্য-

মুর্শিদাবাদের ডিআইসি অপসারণ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চড়া সুরে আক্রমণ করেন নির্বাচন কিমিশনকে। তিনি রীতিমত হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী আবহে মুর্শিদাবাদে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলে তার দায় নিতে হবে কমিশনকে। এখানেই শেষ হয়, মালদা ও মুর্শিদাবাদে যদি হিংসার ঘটনা ঘটে তাহলে তিনি ধর্নায় বসবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, যারা হিংসার ঘটনা সামলানোর কাজে দক্ষ তাদের বিজেপির কথায় সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ইচ্ছে করেই এই কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, কমিশন বিজেপির কথায় রাজ্য থেকে বেছে বেছে অফিসারদের সরিয়ে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'একটাও হিংসার ঘটনা ঘটলে আমি ধরব। আমি যদি কৃষকদের জন্য ২৬ দিন অনশন করতে পারি তাহলে আপনাদের অফিসের সামনেও ৫২ দিন ধর্না দিতে পারে। দেখে নেব কত জেল আছে আর কত পুলিশ আছে। আমি লড়তে জানি।'