সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিরোধী ব্লক ইন্ডিয়া নিয়ে রীতিমত সরব হন। তিনি বিরোধী জোটের দুই সদস্য কংগ্রেস ও সিপিএমকে এক হাত নেন
ভোট প্রচারে অধীর চৌধুরীর গড় হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। হরিহরপাড়ায় কৃষক বাজার ময়গানে জনসভা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখান থেকেই তিনি এক দিকে বিজেপিকে নিশানা করেন। অন্যদিকে তিনি কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন। তিনি কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে একটি ভোটও নষ্ট করবেন না। পাশাপাশি তিনি মুর্শিদাবাদের সভা থেকেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন গোটা দেশে এবার বিজেপি ২০০টিরও বেশি আসন পাবে না। কাকতালীয় হলেও এদিন প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিরোধী ব্লক ইন্ডিয়া নিয়ে রীতিমত সরব হন। তিনি বিরোধী জোটের দুই সদস্য কংগ্রেস ও সিপিএমকে এক হাত নেন। তিনি বলেন, বিজেপির সঙ্গে রাজ্যে দুই দল হাত মিলিয়েছে বলেও দাবি করেন। তিনি করেন এই রাজ্যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার কোনও অস্তিত্ব নেই। জোটের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি জনগণকে কংগ্রেস ও সিপিএম-কে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে স্পষ্ট করে বলেন, এই রাজ্যে ইন্ডিয়া ব্লকের কোনও অস্তিত্ব নেই। তিনি আরও বলেন, 'আমি বিরোধী জোট ইন্ডিয়া গঠন করেছিল। মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিন। এমনকি জোটের নামও আমার দেওয়া। কিন্তু এখানে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেস একসঙ্গে কাজ করছে। ওরা বিজেপির পক্ষে কাজ করছে। আপনি যদি বিজেপিকে পারজিত করতে চান তবে কংগ্রেস ও সিপিআই (এম) এর পক্ষে আপনার ভোট দেবেন না। '
অধীররঞ্জন চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে মমতা শুধুমাত্র কংগ্রেসকেই নিশানা করেছেন এমনটাই নয়, তিনি বিজেপিকেও নিশানা করেন। তিনি বলেন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসনের গণ্ডী পার হবে না। তিনি আরও বলেন, ভোট সমীক্ষাগুলিতে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছে, সেগুলি সবই ভুয়ো। তিনি আরও বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় এই সমীক্ষা করা হচ্ছে। মানুষের চোখ বলছে বিজেপি জিতবে না। তিনি প্রথম দফার নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য পুলিশকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করাচ্ছে কমিশন। উদাহরণ হিসেবে বলেন, 'যার বিয়ে সে-ই পুরোহিত- এটা প্রথম দেখছি।' রাম নবমীকে রাজ্যে হিংসা উস্কে দেওয়ার জন্য বিজেপিকে একহাত নেন। রাম নবমীতে মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।