সংক্ষিপ্ত
স্পেনের মতো দুবাইয়েও একাধিক বানিজ্যিক বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা। দুবাইয়ে দু'দিন ঠাসা কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর।
সাত দিনের স্পেন-সফর সেরে গত বুধবারই দুবাইয়ের পথে রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় লগ্নি আনার বিষয় বেশ ইতিবাচক সাড়াই মিলেছে স্পেন থেকে। এবার তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ভোরে দুবাই এসে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পেনের মতো দুবাইয়েও একাধিক বানিজ্যিক বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা। দুবাইয়ে দু'দিন ঠাসা কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর। স্পেনের মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার শিল্প সম্মেলনের মতো দুবাইয়েও বণিকমহলের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে বাংলার প্রতিনিধিদল দুবাইয়ের ‘জাফজ়া মুক্তাঞ্চল’ এবং ‘জেবেল আলি বন্দর’ পরিদর্শন করবে। উল্লেখ্য, এই জাফড়া হল ইউরোপ এবং আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগের কেন্দ্র। অন্যদিকে দুবাইয়ের ‘জেবেল আলি বন্দর’-এর ধাঁচে বাংলার তাজপুরে বন্দর গড়তে চায় মমতা সরকার। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার এই বন্দরের কাঠামো খতিয়ে দেখবেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে যোগ দেবেন, দুবাইয়ের ভারতীয় উপদূতাবাসে চা-চক্রে। সঙ্গে থাকবেন তাঁর সফরসঙ্গীরাও।
শুক্রবার মূখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি
শুক্রবার প্রথমে একটি শিল্পবৈঠকে যোগ দেবেন মমতা। তারপর প্রবাসী বাঙালি তথা ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতাও করবেন তিনি। শুক্রবার আরব আমিরশাহির গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগোষ্ঠী লুলু-এর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ভারতের কেরল লখনউতে বিনিয়োগ রয়েছে লুলু গ্রুপের।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বার্সেলোনার সভায় হাজির হওয়া শিল্পপতিদের কাছে তিনি পশ্চিমবঙ্গে শিল্পস্থাপন এবং লগ্নির জন্য আর্জি জানান। ভারতকে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলা, এই কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলা এখন দেশের মধ্যে সবচেয়ে উন্নতিশীল রাজ্য। ভারতকে বাংলাই নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরাই গেম চেঞ্জার। তাই আমাদের রাজ্যে বিনিয়োগ করুন। কোনও সমস্যা হবে না।" এর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে তিনি এও জানান, "বাংলায় জমি থেকে যোগাযোগ, প্রশিক্ষিত শ্রমিক থেকে সরকারি সুবিধা, সবকিছুই পাবেন।’’
মঙ্গলবার ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরের সপ্তম দিন। রবিবার তিনি বার্সেলোনা-এ পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার এল প্যালেস হোটেলের গ্র্যান্ড ভিয়া হলে একটি শিল্প সম্মেলন আয়োজিত হয়। সেখানে সঞ্চালনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের প্রশাসনের সামাজিক এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক সুরক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেছেন, ‘‘সমাজের দরিদ্রতম অংশের জীবনে আলো জ্বালাই আমাদের লক্ষ্য। সেই কাজই আমরা করে চলেছি।’’